২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, সোমবার, ০১:১৮:৪১ পূর্বাহ্ন
একুশে পদক প্রাপ্ত সিনিয়র ফুটবলাররা যাননি শহীদ মিনারে
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৩-০২-২০২৫
একুশে পদক প্রাপ্ত সিনিয়র ফুটবলাররা যাননি শহীদ মিনারে

দেশের ফুটবলের ইতিহাসে কোনো দল একুশে পদক পায়নি। এবার বাংলাদেশ সরকার নারী ফুটবল দলকে একুশে পদক দিয়ে সম্মানিত করেছে। ২০২৪ সাফ চ্যাম্পিয়ন দলকে একুশে পদক তুলে দিয়েছে। অধিনায়ক সাবিনা খাতুন, কৃষ্ণা রানী, মাসুরা পারভীন, সানজিদা আক্তার, মারিয়াদের হাতে ছাতে গত বৃহস্পতিবার একুশে পদক তুলে দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস অনন্দিত দেশের মানুষও খুশি। 


যারা একুশে পদক পেয়েছেন এটি তাদের জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় স্মৃতি। রাষ্ট্রের এতো গুরুত্বপূর্ণ এবং মর্যাদার একটি পদক পাওয়া অনেক বেশি গৌরবের। পদক বিতরণের পর দিন ২১ ফেব্রুয়ারি, মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করেছে দেশের সব শ্রেণির মানুষ। 


সালাম-বরকত-রফিক-জব্বারসহ ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে বাফুফে থেকে নারী ফুটবল দল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়েছে। শ্রদ্ধাঞ্জলি দিয়েছেন তারা। ব্রিটিশ কোচ পিটার বাটলারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা সাফজয়ী সিনিয়র খেলোয়াড়রা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে যাননি। আগামীকাল নারী ফুটবল দল আরব আমিরাতে ফিফা প্রীতি ম্যাচ খেলতে যাবে, সেই সব জুনিয়র ফুটবলাররা কালো ব্যানার হাতে শহীদ মিনারে গিয়েছিলেন। যারা একুশে পদক পাননি তারা গেলেন, আর যারা একুশে পদক পেয়েছেন তারা শহীদ মিনার গেলেন না। 


 


এই দলের সঙ্গে শহীদ মিনারে যাওয়া বাফুফের দুই সদস্য ছিলেন কামরুল ইসলাম হিলটন এবং টিপু সুলতান। টিপু সুলতান সাফজয়ী নারী দলের কর্মকর্তা ছিলেন এবং একুশে পদক প্রাপ্ত হয়েছেন। জুনিয়রদের শহীদ মিনারে নেওয়া হলো, আর সিনিয়রদের নেওয়া হলো না, কেন। এমন প্রশ্নে টিপু সুলতান। বলেন, 'আমরা ওদের বলেছি ওরা না যেতে চাইলে আমরা কী করতে পারি।' 


সাফ চ্যাম্পিয়ন দলে থাকা যেসব জুনিয়র ফুটবলার একুশে পদক পেয়েছেন এবং আরব আমিরাতে যাবেন তারা শহীদ মিনারে গিয়েছিলেন। যাদের মধ্য অন্যতম আফঈদা খন্দকার, স্বপ্না, রিপা, ইয়ারজান, সহকারী কোচ মাহবুবুর রহমান লিটু রয়েছেন। টিপু বলেন, 'ক্যাম্পের সব ফুটবলারকে শহীদ মিনারে নেওয়ার জন্য আমাদের মিডিয়া ডিপার্টমেন্টের নওমীকে (খালিদ মাহমুদ) দিয়েও খবর দেওয়া হয়েছিল। এখন ওরা যদি না আসে কী করার আছে। এটা অবশ্যই দেখতে খারাপ দেখা যায়।' 




টিপু জানিয়েছেন, কারা ২১ ফেব্রুয়ারি বিকাল সাড়ে ৩টায় শহীদ মিনারে গিয়েছেন। এ সময় ক্যাম্পে থাকা সিনিয়র খেলোয়াড়দের কোনো ব্যস্ততা ছিল না। টিপু বলেন, 'সিনিয়র ফুটবলারর একুশে পদক পেয়েছেন, ওরা যদি যেতেন দেখতেও সুন্দর লাগত।' শহীদ মিনারে না গেলেও একুশে পদক নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সরব ছিলেন সাবিনারা। পদক গ্রহণ অনুষ্ঠানে বাফুফের মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম বাবু হাজির ছিলেন। ক্যামেরা দেখে নারী খেলোয়াড়দের ঘাড়ের ওপর দিয়ে মুখ দেখানোর চেষ্টা করতে দেখা গেছে, কিন্তু নারী দলের শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলির সময় অনুপস্থিত। 


নারী দলের একুশে পদক পাওয়ার আগ পর্যন্ত বাফুফে নিশ্চিত করতে পারেনি, কত জন পদকপ্রাপ্ত হবেন। পদক গ্রহণের পরও বাফুফে থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি ২০২৪ সাফজয়ী দলের কোন কোন ফুটবলার, কোচ, কোচিং স্টাফ, কর্মকর্তা একুশে পদক পেয়েছেন। নামের একটা তালিকা প্রকাশ করেনি বাফুফে। বারবার বলা হয়েছে '২৩ ফুটবলার।' ২৩ জনের নাম কী, নামের সেই তালিকা বাফুফে প্রকাশ করার প্রয়োজন মনে করেনি। বাফুফে বলে 'সবাই তো নাম জানেই।'


শেয়ার করুন