 
                         
                    
                                            
                        
                             
                        
জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মুখ সারির সমন্বয়কদের উদ্যোগে নতুন ছাত্র সংগঠনের আত্মপ্রকাশ হবে আজ।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংগঠনটি আত্মপ্রকাশ করবে বলে নিশ্চিত করেছেন একাধিক সংগঠক।
নতুন সংগঠন তৈরির প্রধান উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উদ্যোক্তারা মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি গঠনের বিষয়ে আলোচনায় বসেছেন। তবে এখনো চূড়ান্ত হয়নি নাম। কমিটিগুলোও পূর্ণাঙ্গভাবে প্রস্তুত হয়নি বলে জানিয়েছেন তারা।
নেতৃত্বে সমন্বয়কারীরাই
সংগঠনটির কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ নেতৃত্ব প্রায় চূড়ান্ত। ব্যতিক্রম না ঘটলে এতে পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছেন নতুন সংগঠনের একাধিক উদ্যোক্তা।
তারা জানান, সংগঠনটিতে শীর্ষ চারটি পদ থাকবে: আহ্বায়ক, সদস্য সচিব, মুখ্য সংগঠক ও মুখপাত্র। এছাড়া জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব পদ থাকতে পারে। এর বাইরে যুগ্ম আহ্বায়ক ও যুগ্ম সদস্য সচিব পদে একাধিক সদস্য থাকবেন।
কোনো ব্যতিক্রম না ঘটলে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়কের দায়িত্ব পেতে পারেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাবেক সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার। কেন্দ্রের সদস্য সচিব পদে থাকতে পারেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দপ্তর সেলের সম্পাদক জাহিদ আহসান। সংগঠনটির মুখ্য সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব নিতে পারেন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তাহমীদ আল মুদ্দাসসীর চৌধুরী। আর মুখপাত্র হতে পারেন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আশরেফা খাতুন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক হিসেবে থাকতে পারেন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুল কাদের। সদস্য সচিব পদে আসতে পারেন গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী মুহির আলম। মুখ্য সংগঠক হতে পারেন সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র হতে পারেন সাবেক সমন্বয়ক রাফিয়া রেহনুমা হৃদি।
নতুন সংগঠন নিয়ে সংগঠকদের মতামত
আবু বাকের মজুমদার জানান, "আমাদের ছাত্র সংগঠন কোনো লেজুড়বৃত্তিক সংগঠন হবে না। এটি স্বাধীনভাবে কাজ করবে।"
তিনি আরও বলেন, "নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের পরিকল্পনা চলছে, তবে আমাদের সংগঠনের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। আমাদের নেতৃত্ব নির্বাচন হবে ‘বটম টু টপ’ প্রক্রিয়ায়, গণতান্ত্রিক উপায়ে। সংগঠনের আর্থিক কার্যক্রম অভ্যন্তরীণ চাঁদার মাধ্যমে পরিচালিত হবে।"
আব্দুল কাদের বলেন, "এই সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ২৮ বছর। ২৮ বছরের বেশি কেউ কেন্দ্রীয় কমিটিতে থাকতে পারবেন না। বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটগুলোর সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে অনার্সে ভর্তি হওয়ার পর থেকে সর্বোচ্চ সাত বছর পর্যন্ত অনুমতি থাকবে। অর্থাৎ এটি শুধু শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সংগঠন।"
জানা গেছে, সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যে সাংগঠনিক কাঠামো তৈরি হয়েছে, তার সঙ্গে নতুন ছাত্র সংগঠনের কোনো সংযোগ থাকবে না। এমনকি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে গঠিত নতুন রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও এই ছাত্র সংগঠনের সম্পর্ক নেই।

