রাজশাহী বাগমারা উপজেলার হাট গাঙ্গোপাড়া ৯ নং ওয়ার্ডের শুভডাঙ্গা এলাকার বাবুল হোসেন নামে এক ব্যক্তির জমি জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী বাবুল আজ রবিবার পদ্মা প্রেসক্লাবে দুপুর ২ টার সময় সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী বাবুল জানান - আমার বাবা নিম্ন তপশিল বর্ণিত সম্পত্তি গত ২৬/১০/১৯৯১ইং সালে দলিল নং ৯৭৫৩ ও ১৫/০২/১৯৯২ সালে ১৯৯৮ মূলে ক্রয় করে বিক্রয় কবলা রেজিস্ট্রি পূর্বক দলিল মূলে ভোগ দখল করে আসছে। উক্ত সম্পত্তির খতিয়ান নং ভুল হওয়ায় ৯৭৫৩ নং দলিল টি সংশোধনের জন্য জজকোর্ট রাজশাহীতে সংশোধনের জন্য মামল চলমান আছে। যাহার মামলা নং-৬৬/২০১৮, তারিখঃ ০৬/০৯/২০১৮ইং।
উক্ত সম্পত্তিতে গত ২০১৮ ইং সালে টিন ও বাঁশ দ্বারা বেড়া দিয়ে আমি ৩০টি মেহগনি গাছ, ১০ ইউক্যালিপটাস, ১টি কদম ও ১টি বাবলা গাছ রোপন করিয়াছি। গাছগুলি বর্তমানে বড় হয়েছে । এমতাবস্থায় ১নং বিবাদী মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন (৩৫), ২নং বিবাদী হেলাল হোসেন(৩৮), ৩নং বিবাদী মোঃ রেজাউল হোসেন (৪২), সকলের পিতা সমতুল্যা, ৪নং বিবাদী মোঃ १০), পিতা- মৃত শুকুর মন্ডল, ৫নং বিবাদী মোছঃ মাজেদা বিবি(৫৮), স্বামী- সমতুল্যা, ৬ নং বিবাদী মোছাঃ সে বিবি(২৭), স্বামী- রেজাউল, ৭নং বিবাদী মোছাঃ পাপিয়া বিবি(২৪), স্বামী- হেলাল হোসেন, ৮নং বিবাদী মোছাঃ আলতাফুন বিবি(২৩), স্বামী- মোয়াজ্জেম হোসেন, সর্ব সং- বানাইপুর, ডাকঘর- হাটগাঙ্গোপাড়া, ইউনিয়ন- শুভডাঙ্গা - বাগমারা, জেলা- রাজশাহীসহ উক্ত পরিবারের সদস্যাগণ সহ ৮জন লোকবল সহু লাঠি, সোটা, ও দেশি অস্ত্রসহ গত ০৫/০৮/২০২৪ইং তারিখে বিকাল ৫.০০ টার সময় আমার উক্ত সম্পত্তিতে জোরপূর্বক প্রবেশ করে অন্যায়ভাবে ভোগ দখলের প্রত্যাশায় আমার সম্পত্তিতে গাছগুলি কাটতে শুরু করে ।
এসময় বিবাদীগণ আমাদেরকে উদ্দেশ্য করে নানা নরকম অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং আমি ও আমার পরিবারের সদস্যগ উক্ত সম্পত্তিতে গেলে প্রাণনাশের হুমকি দেয় । এরপর বিবাদীগণ ০৬/০৮/২০২৪ইং তারিখ এবং ০৭/০৮/২০২৪ইং তারিখ পর্যন্ত আমার সম্পত্তিতে থাকা সমস্ত গাছ কেটে ফেলে এবং বেড়ায় ব্যবহৃত টিন ও সমস্ত গাছ নিয়ে চলে যায়। বর্তমানে উক্ত সম্পতিতে বিবাদীগণ জোরপূর্বক দখল করে টিনের বেড়া ও ছাউনি দিয়ে ঘর তৈরী করেছে।
আমি বিবাদীগণের হুমকি ও অস্ত্রের ভয়ে উক্ত সম্পত্তি দখলে বাঁধা প্রদান করতে পারি নাই। এমতাবস্থায় বিবাদীগণ দ্বারা আমার সম্পত্তি জোরপূর্বক অন্যায় ভাবে দখলের হাত থেকে উদ্ধার করার ব্যবস্থা জন্য ১১/১২/২০২৪ ইং তারিখে বিভাগীয় কমিশনার ও পুলিশ সুপার এবং ২৬/১২/২৪ ইং রাজশাহী জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করি। তাছাড়া বাগমারা থানায় ২৬/১২/২৪ ইং তারিখে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরি করি। পরবর্তীতে উক্ত বিষয়ে আমি রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি।
কিন্তু অভিযোগ করার পরেও রাজশাহী বাগমারা ইউএনও ও এসিল্যান্ড যথাযথ কোন ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত গ্রহণ করেন নাই।