১৬ মার্চ ২০২৫, রবিবার, ০৩:৪৮:০৮ পূর্বাহ্ন
ট্রেনে ঈদযাত্রা: আধাঘণ্টায় সার্ভারে হিট পৌনে ১ কোটি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-০৩-২০২৫
ট্রেনে ঈদযাত্রা: আধাঘণ্টায় সার্ভারে হিট পৌনে ১ কোটি

ঈদুল ফিতরের আগাম ট্রেন টিকেট বিক্রির দ্বিতীয় দিন অনলাইনে ভিড় বেড়েছে কয়েকগুণ। শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সাইটে প্রবেশ করেন প্রায় পৌনে এক কোটি মানুষ।


এর আগে সকাল ৮টায় পশ্চিমাঞ্চলের ২৫ মার্চের টিকেট উন্মুক্ত হওয়ার খানিক বাদেই সব টিকেট শেষ হয়ে যায়। ঈদযাত্রায় এবার প্রতিদিন ঢাকা থেকে ৩৫ হাজার ৩১৫টি অগ্রিম টিকেট পাবেন যাত্রীরা।



রেলওয়ের ঢাকা বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মহব্বত জান চৌধুরী বলেন, ‘টিকেট বিক্রি শুরুর পর সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ৭৩ লাখ হিট হয়েছে।’


ট্রেনের আগাম টিকেট এখন বিক্রি শুরু হয় ১০ দিন আগে। সেই হিসাবে ঈদযাত্রার আগাম টিকেট ছাড়ার শুরুর দিন শুক্রবার বিক্রি হয়েছে ২৪ মার্চের টিকেট।


সেদিন খুব বেশি হিট হয়নি বলে জানিয়েছেন রেলের টিকিট বিক্রির দায়িত্বপ্রাপ্ত কোম্পানি সহজের চিফ অপারেটিং অফিসার সন্দীপ দেবনাথ।


তিনি শনিবার সকালে বলেন, আজ হিট বেড়েছে, শুক্রবারের চেয়ে প্রায় তিনগুণ বেশি। সকাল ৮টা ২০ মিনিটের মধ্যে টিকেট বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। এদিন দুপুর ২টায় পূর্বাঞ্চলের ২৫ মার্চের টিকেট উন্মুক্ত করা হবে।


শনিবার সকাল ৮টা ৩ মিনিটে বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকেট বিক্রির সাইটে প্রবেশ করে দেখা গেছে, রাজশাহীগামী সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনে স্নিগ্ধা ৩৮টি, এসি সিট ৮টি, বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের স্নিগ্ধায় ৩টি, ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনের এসি সিট ৮টি, স্নিগ্ধায় ১৯টি আসন ফাঁকা আছে।


তবে ঠিক দুই মিনিট পর সকাল ৮টা ৫ মিনিটে প্রবেশ করে এসি সিট এবং স্নিগ্ধা শ্রেণির কোনো টিকেট পাওয়া যায়নি। 


দেখা গেছে, রংপুর, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, পার্বতীপুর, নাটোর, খুলনা এবং বেনাপোল স্টেশনের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরার টিকে শেষ হয়ে গেছে প্রথম ১০ মিনিটের মধ্যেই।


সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে ওইসব স্টেশনের শোভন চেয়ারসহ সব শ্রেণির টিকেট বিক্রি শেষ হয়ে যায়। সে সময় পর্যন্ত শোভন চেয়ার শ্রেণির একটি টিকেট অবিক্রিত ছিল।


কমলাপুরের স্টেশন মাস্টার মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, এখন অনলাইনেই সব টিকেট বিক্রি হয়। মানুষের টিকেটের চাহিদা বেশি থাকায় বিক্রি শুরুর দিকেই টিকেট বিক্রি শেষ হয়ে যায়।


তিনি বলেন, আর এখন যেহেতু অনলাইনে সব টিকেট দেওয়া হচ্ছে এ কারণে মানুষজন খুব একটা আসে না। শুক্রবার দু-একজন স্টেশনে টিকেট নেওয়ার জন্য এসেছিলেন। আজ তেমন লোক নেই।


আগামী ২৬ মার্চের টিকেট মিলবে রোববার। এরপর ধারাবাহিকভাবে ২৭ মার্চের টিকেট ১৭ মার্চ, ২৮ মার্চের টিকেট ১৮ মার্চ, ২৯ মার্চের ১৯ মার্চ এবং ৩০ মার্চের টিকেট পাওয়া যাবে ২০ মার্চ।


চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ৩১ মার্চ এবং ১ ও ২ এপ্রিলের টিকেট বিক্রি করা হবে।


উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের রোজার ঈদের টিকেট বিক্রির মধ্য দিয়ে ঈদযাত্রার শতভাগ টিকেট অনলাইনে বিক্রি শুরু করে রেলওয়ে। আর সার্ভারের চাপ কমাতে সকাল ও দুপুরে দুই শিফটে টিকেট বিক্রির প্রচলন শুরু হয়।

শেয়ার করুন