১৮ মার্চ ২০২৫, মঙ্গলবার, ১১:১০:৪৭ অপরাহ্ন
বাংলার বধূবরণ করলো হামজার পরিবার
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-০৩-২০২৫
বাংলার বধূবরণ করলো হামজার পরিবার

হামজা চৌধুরী তরুণ বয়সে শেষবার বাংলাদেশে এসেছিলেন। ২০১৪ সালে বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার পরই লেস্টার সিটির একাডেমিতে সুযোগ পেয়েছিলেন। তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। জীবন বদলে গিয়েছে তার। এখন তিনি ইংলিশ ফুটবলের পরিচিত একটি নাম। ১৮ বছর পার হতেই হামজা বিয়ে করেছেন ব্রিটিশ নাগরিক অলিভিয়াকে। ভালোবেসে অলিভিয়া নিজ ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণ করেছেন। 


সেই থেকে আজও ইসলামের প্রতি তার সব ভালোবাসা বলে জানিয়েছেন হামজার বাবা দেওয়ান মোরশেদ চৌধুরী। বিয়ে করার পর হামজার বাংলাদেশে আসা হয়নি। খেলা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। হামজার দাদা-দাদি কারো সঙ্গে দেখা হয়নি। হামজার দাদির সঙ্গে কথা হতো ভিডিও কলে। তার অনেক ইচ্ছা ছিল হামজার বউকে দেখবেন। হামজার দাদি প্রায় জানতে চাইতেন, হামজার বউ চা বানাতে পারে কি না। আরও কতো প্রশ্ন। 


 


হামজা বাংলাদেশের হয়ে ফুটবলে খেলবেন বলে এবার পুত্রবধূ নাতি-নাতনি সবাইকে নিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন। প্রথমবার পুত্রবধূ আসবেন, তাই তাকে নববধূকে যেভাবে গ্রহণ করে সেভাবে আয়োজন করা হয়েছিল স্নানঘাটের বাড়িতে। এক গাড়িতে চড়ে হামজা এবং তার স্ত্রী অলিভিয়া চৌধুরী বাড়িতে প্রবেশ করেন। ফুলের বৃষ্টি ছড়িয়ে দেন সবাই। গাড়ি নিয়ে বাড়ির ভেতরে ঢুকলেও গাড়ি থেকে নামতে অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে। বাবা দেওয়ান মোরশেদ চৌধুরী না বলা পর্যন্ত হামজা একবার নেমেই আবার গাড়িতে উঠে বসেন। 


মানুষের ভিড় তখন সামাল দিতে চড়াও হতে হয়েছিল বাবাকে। পুলিশ চেষ্টা করছেন সবাইকে সরিয়ে দিতে। বাড়ির চারপাশের বেড়ার ওপর দিয়ে মানুষের মাথা দেখা যায়। সংবাদকর্মী, ইউটিউভার আর দর্শকের হাতে হাতে মোবাইল ফোনের ভিডিও ধারণ করা দেখে বিরক্ত হামজার বাবা। ওদিকে নতুন বউয়ের জন্য গেটে ফিতা ধরে ফুল হাতে দাঁড়িয়ে আছে শিশু ও বাড়ির নারীরা। হামজার স্ত্রী ফিতা কেটে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করেন।


 

 


যেভাবে সব পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তা করতে না পেরে রেগে গিয়েছেন হামজার বাবা দেওয়ান মোরশেদ। সব পরিকল্পনা নাকি বাস্তবায়ন হয়নি। মানুষ ভেতরে প্রবেশ করে সব নষ্ট করে দিয়েছে।


শেয়ার করুন