১৫ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গলবার, ১০:০৪:১৪ অপরাহ্ন
ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরোক্ষ আলোচনা বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত: ওমানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-০৪-২০২৫
ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরোক্ষ আলোচনা বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত: ওমানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী

মুসলিম বিশ্বের নিরপেক্ষ মধ্যস্থতাকারী হিসেবে পরিচিত ওমান জানিয়েছে, ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রথম দফার পরোক্ষ আলোচনা বন্ধুত্বপূর্ণ ও গঠনমূলক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনার লক্ষ্য ছিল একটি ন্যায়সঙ্গত ও বাধ্যতামূলক চুক্তির পথে অগ্রসর হওয়া।


ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আলবুসাইদি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ জানান, মাসকটে অনুষ্ঠিত এ আলোচনায় তিনি ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল দূত স্টিভ উইটকফকে স্বাগত জানান এবং মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করেন।


তিনি লেখেন, আমি দুই সহকর্মীকে ধন্যবাদ জানাই তাদের অংশগ্রহণের জন্য, যা অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে এবং উভয় পক্ষকে আরও কাছাকাছি এনেছে।


ওমানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, আলোচনার মূল বিষয় ছিল ইরানের শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচি ও তেহরানের ওপর আরোপিত অবৈধ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার। আলোচনার মাধ্যমে এমন একটি চুক্তির পথ খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা চলছে যা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি, নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা অর্জনে সহায়ক হবে।


তিনি আরও বলেন, ওমান এই প্রচেষ্টায় তার ভূমিকা অব্যাহত রাখবে এবং যেকোনো গঠনমূলক প্রক্রিয়ায় অবদান রাখতে প্রস্তুত।


ওমানে পরোক্ষ আলোচনা: শান্তিপূর্ণ অভিমত বিনিময়


আলোচনাটি ছিল পরোক্ষ; দুই পক্ষের মধ্যে মতামত বিনিময় হয় ওমানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মাধ্যমে। দুই দেশের প্রতিনিধিদল তাদের নিজ নিজ অবস্থান তুলে ধরেন—বিশেষ করে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে।


আলোচনা চলে আড়াই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে। বৈঠক শেষে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান আলোচকরা ওমানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সংক্ষিপ্ত বৈঠক করেন এবং তারপর স্থান ত্যাগ করেন।


ট্রাম্পের হস্তক্ষেপের আশঙ্কা


এদিকে একটি আঞ্চলিক সূত্র জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আলোচনার প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলতে পারেন। সূত্রটি জানায়, ট্রাম্প শিগগিরই এমন কিছু মন্তব্য করতে পারেন যা মূলত জনমত প্রভাবিত করতেই দেওয়া হবে, এবং তা আলোচনায় অংশ নেওয়া মার্কিন দলের সঙ্গে সমন্বয়হীনও হতে পারে।


তবে সবকিছুর পর, প্রথম দফার আলোচনা ইতিবাচকভাবেই শেষ হয়েছে। উভয় পক্ষ আগামী সপ্তাহে আবারো আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছে। 


ওমানের এই মধ্যস্থতা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যেখানে তীব্র উত্তেজনার মধ্যেও দুই চিরবৈরী রাষ্ট্রকে আলোচনার টেবিলে আনা সম্ভব হয়েছে।


শেয়ার করুন