আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রমজান মাস সংযমের মাস। এ মাসেও বিএনপির নেতারা তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি চলমান রাখার কথা বলছেন।
রমজান মাসে কর্মসূচি চলমান রাখার ঘোষণার মধ্য দিয়ে বিএনপি জনগণের ধর্মীয় মূল্যবোধ ও অনুভূতির বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে। তাদের এই কর্মসূচি রমজানের মধ্যেও জনভোগান্তি সৃষ্টি করবে। অর্থাৎ তারা দেশের জনগণকে কোনোভাবেই স্বস্তিতে থাকতে দিতে চায় না।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা আগেই বলেছি, রমজানে ঘোষিত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিএনপি আরও জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। তারা দীর্ঘ এক যুগের বেশি তাদের তথাকথিত সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে দেশের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধ্বংসের পাঁয়তারা করে আসছে। কিন্তু তাদের ডাকে জনগণ কখনোই সাড়া দেয়নি। বরং তারা জনগণ দ্বারা বারবার প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। ফলে বিএনপি তথাকথিত আন্দোলনের মাধ্যমে গণসম্পৃক্ততার কোনো স্বরূপ তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে। বিএনপি সর্বদাই গণবিরোধী অবস্থানে থেকে রাজনীতি করে আসছে। তাই বিএনপির পক্ষে কখনোই গণআন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব নয়।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা পরোক্ষভাবে বন্দিত্বের কথা বলছে; তারা নাকি স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারে না। অথচ তারা নিয়মিতভাবে সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে যাচ্ছে, চড়া গলায় সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে বিএনপির নেতাকর্মীরা ভুলের চোরাবালিতে আটকা পড়েছে, ভুল রাজনীতির ফ্রেমে বন্দি হয়ে আছে। তারা খুনি-দুর্নীতিবাজ, অর্থ পাচারকারী তারেক রহমানের নেতৃত্বের দাসত্বে বন্দি হয়ে আছে। তাদের শুভবুদ্ধির উদয় বা বিবেক জাগ্রত না হলে তারা এই বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাবে না। বন্দি অবস্থায় থাকতে থাকতে ভ্রমের কারণে তারা তাদের বন্দিত্বের দায়ভার সরকারের ওপর চাপানোর অপচেষ্টা করছে।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। রমজান মাসে জনগণের যাতে কষ্ট না হয় সেজন্য সরকার সর্বাত্মকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সর্বদা জনগণের পাশে ছিল এবং থাকবে।