১৬ জানুয়ারী ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ০২:৪৩:২৪ অপরাহ্ন
ভারতীয় মহাসাগর অঞ্চলে আন্তর্জাতিক শক্তির প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৬-০১-২০২৫
ভারতীয় মহাসাগর অঞ্চলে আন্তর্জাতিক শক্তির প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, ভারতীয় মহাসাগর অঞ্চলে আন্তর্জাতিক শক্তির প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে। প্রধান বাণিজ্য রুটে শক্তিশালী নৌ উপস্থিতি তাদের সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার। 


কোন দেশের সঙ্গে এ প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে তা উল্লেখ করেননি প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তবে, বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০২০ সালে ভারত-চীনের হিমালয় সীমান্তে সংঘর্ষে ২৪ জন সেনা নিহত হওয়ার পর থেকে বেইজিং দিল্লির নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।


ভয়েস অব আমেরিকা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ধারাবাহিক আলোচনার পর অক্টোবরে একটি চুক্তি হওয়ার পর চীন ও ভারতের সেনারা দুটি মুখোমুখি অবস্থান থেকে সরে এসেছে। তবে ভারতের সেনাপ্রধান চলতি সপ্তাহে  গণমাধ্যমকে বলেন, ‘একটি বিষয়ে অচলাবস্থা’ এখনো অব্যাহত রয়েছে।


মুম্বাইয়ে সাবমেরিন এবং দুটি নৌবাহিনীর জাহাজ উদ্বোধনকালে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, ‘বিশ্বের ব্যবসা-বাণিজ্যের বড় একটি অংশ ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল দিয়ে অতিবাহিত হয়। ভূ-কৌশলগত কারণে এই অঞ্চলটি আন্তর্জাতিক শক্তি প্রতিদ্বন্দ্বিতায়ও অংশ হয়ে উঠছে। ’


তিনি বলেন, ভারতের বাণিজ্যের ৯৫ শতাংশই ভারতীয় মহাসাগর অঞ্চলের সাথে যুক্ত। এই পরিস্থিতিতে একটি শক্তিশালী ভারতীয় নৌবাহিনীর উপস্থিতি আমাদের সর্ববৃহৎ অগ্রাধিকার হয়ে উঠেছে।


বাংলাদেশ, মিয়ানমার, শ্রীলংকা ও পাকিস্তানে বিনিয়োগ ও উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশগুলোতে বেইজিং প্রভাব বাড়ানোয় চীনকে মোকাবিলা করার চেষ্টা করেছে ভারত।


এদিকে, ২০৩৫ সালের মধ্যে ১৭৫টি জাহাজের শক্তিশালী নৌ বাহিনী তৈরির পরিকল্পনা করেছে। স্থানীয়ভাবে তৈরি উপাদান ব্যবহারের ওপর নয়াদিল্লি ক্রমবর্ধমানভাবে জোর দিচ্ছে।


তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, জাহাজের নির্মাণের গতি চীনের তুলনায় ধীর। চীন যেখানে বছরে প্রায় ১৪টি যুদ্ধজাহাজ তৈরি করে, সেখানে ভারতের জাহাজ নির্মাণের সংখ্যা মাত্র চারটি।


অন্যদিকে, ৩৭০টির বেশি জাহাজ নিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম নৌবাহিনী রয়েছে চীনের। 


শেয়ার করুন