২৩ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার, ০৬:৪২:০৫ অপরাহ্ন
মোসাদ্দেক-লিটনে ভর করে জয় ছিনিয়ে আনলো বাংলাদেশ
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩১-০৭-২০২২
মোসাদ্দেক-লিটনে ভর করে জয় ছিনিয়ে আনলো বাংলাদেশ

মোসাদ্দেক হোসেনের দারুণ বোলিংয়ের পর লিটন দাসের ব্যাটে ভর করে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয়টিতে ৭ উইকেটের দাপুটে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে ক্রিকেটের এই ফরম্যাটে টানা ৫ ম্যাচ পর জয় তুলে নিয়েছে টাইগাররা। একইসঙ্গে সিরিজে ১-১ ব্যবধানে সমতায়ও ফিরেছে নুরুল হাসান সোহানের নেতৃত্বে দলটি।

এর আগে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ সবশেষ এ বছরের মার্চে মিরপুরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় পেয়েছিল। এরপর আফগানদের বিপক্ষে এক ম্যাচ হারের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দুই ম্যাচ হারে, এক ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। আর এবারের জিম্বাবুয়ে সফরে হার দিয়ে শুরু করেছ।

রোববার হারারে স্পোর্টস ক্লাবে ম্যাচটি বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায় মাঠে গড়ায়। যেখানে প্রথমে ব্যাট করা জিম্বাবুয়ে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান করতে পারে। জবাবে ৩ উইকেট হারিয়ে ও ১৫ বল বাকি থাকতে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।

জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১৩৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করে সফরকারীরা। তবে ওপেনার লিটন দাস হাফসেঞ্চুরি করে ফেরার পর দ্রুত বিদায় নেন আনামুল হক। জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৪.৩ ওভারে উদ্বোধনী জুটিতে ৩৭ রান তোলে বাংলাদেশ। ব্যক্তিগত ৭ রানে রিচার্ড এনগারাভার বলে আউট হন ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার।

এরপর আনামুল হক বিজয়কে নিয়ে ফের জুটি গড়েন লিটন। এসময় টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন এই ডানহাতি ওপেনার। তবে ফিফটি করার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। শন উলিয়ামসের বলে এলবি হওয়ার আগে ৩৩ বলে ৫৬ রান করেন। তার ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও ২টি ছক্কা। এরপর সিকান্দার রাজার বলে দ্রুত বিদায় নেন ১৬ রান করা আনামুল হক।

তবে আর কোনো বিপদ হতে দেননি আফিফ হোসেন ও নাজমুল হোসেন শান্ত জুটি। চতুর্থ উইকেটে তারা ৪৮ বলে ৫৫ রানে অবিচ্ছিন্ন থেকে দলকে জয় পাইয়ে দেন। আফিফ ২৮ বলে একটি চার ও সমান ছক্কায় ৩০ বলে অপরাজিত থাকেন। অপরদিকে শান্ত ২১ বলে ১৯ রানের ইনিংস খেলেন। জিম্বাবুয়ে বোলারদের মধ্যে এনগারাভা, শন উইলিয়াম ও রাজা একটি করে উইকেট পান।

টস জিতে এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়ে মোসাদ্দেক হোসেনের ঘূর্ণিতে নাকাল হয়। টপঅর্ডারের প্রথম ৫ উইকেট একাই তুলে নেন তিনি।জিম্বাবুয়ে ইনিংসের প্রথম ওভারেই বাংলাদেশের এই স্পিনার জোড়া আঘাত করেন। ইনিংসের প্রথম বলেই তিনি ওপেনার রেগিস চাকাভাকে শূন্য রানে নুরুল হাসানের স্টাম্পিংয়ে বিদায় করেন। পরে ওভারের শেষ বলে মেহেদী হাসানের ক্যাচে ৪ রানে থাকা ওয়েসলি মাধেভেরেকে আউট করেন।

নিজের পরের ওভারে ফের উইকেটের দেখা পান মোসাদ্দেক। এবার আরেক ওপেনার ক্রেইগ আরভিনকে স্লিপে থাকা লিটন দাসের ক্যাচে পরিণত করেন। তৃতীয় ওভারে এসে আবার উইকেট শিকার এই স্পিনারের। এবার ব্যক্তিগত ৮ রানে থাকা শন উইলিয়ামসকে নিজেই ক্যাচ ধরে মাঠ ছাড়া করান।

প্রতি ওভারেই চমক দেখানো মোসাদ্দেক নিজের শেষ ওভারেও উইকেটের দেখা পান। মিল্টন শাম্বা তার বল তুলে মারতে গেলে বাউন্ডারির কাছে থাকা হাসান মাহমুদ দারুণ এক ক্যাচ ধরেন। নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে প্রথমবারে ৫ উইকেট দখল করলেন এই ডানহাতি পার্টটাইম স্পিনার। এর আগে ১৯ ম্যাচে মাত্র ৭ উইকেট পাওয়া এই স্পিনার এবার এক ম্যাচেই ৫ উইকেট পেলেন।

সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে একাই লড়ে যান জিম্বাবুয়ে ব্যাটার সিকান্দার রাজা। মোস্তাফিজুর রহমানের বলে আউট হওয়ার আগে তিনি ৫৩ বলে ৪টি চার ও দুটি ছক্কায় ৬২ রান করেন। তার সঙ্গে জুটি গড়ে দলকে মোটামুটি সংগ্রহ এনে দেওয়া রায়ার্ন বার্ল ৩১ বলে ৩২ করে হাসান মাহমুদের বলে বোল্ড হন।

ম্যাচ সেরার পুরস্কার পান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। আগামী মঙ্গলবার একই ভেন্যুতে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।

শেয়ার করুন