জুলাই মাসে কমেছে দেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতি। ফলে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতিতে স্বস্তি ফিরেছে। এ মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ১৯ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এ ছাড়া খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
বুধবার এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান তার অফিসে তাৎক্ষণিক এক ব্রিফিং করেছেন।
তিনি জানান, গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে, যা জুন মাসে ছিল ৮ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। এ সময় খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ, যা জুন মাসে ছিল ৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্য কিছুটা বেড়ে দাঁড়িছেছে ৬ দশমিক ৫৮ শতাংশে, যা জুন মাসে ছিল ৬ দশমিক ৫১ শতাংশ।
শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৫১ শতাংশে, যা জুন মাসে ছিল ৬ দশমিক ৬২ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৮৪ শতাংশে, যা জুন মাসে ছিল ৭ দশমিক ১১ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ১৫ শতাংশে, যা জুন মাসে ছিল ৬ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ।
ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, চালের দাম বাড়েনি। কোন কোন ক্ষেত্রে কমেছে। ভোজ্যতেলের দাম ১৮-২০ টাকা কমেছে। ডালের দাম বাড়েনি। এসব কারণে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমেছে। এর পর প্রভাব পড়েছে সার্বিক মূল্যস্ফীতিতে।
তিনি জানান, ৪২২টি পণ্যের দাম নিয়ে মূল্যস্ফীতির এ হিসাব করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
তিনি বলেন, সার্বিক মূল্যস্ফীতি জুলাই মাসে কমেছে দশমিক ৪ শতাংশ। আর খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমেছে দশমিক ১৯ শতাংশ।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গ্রামের যারা সবচেয়ে গরিব তাদের সহ্য ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি।
তিনি আরও বলেন, যারা আশা করেছিল মূল্যস্ফীতিতে বাংলাদেশ শ্রীলংকা হবে, আল্লাহর রহমতে তাদের সে আশা পূরণ হয়নি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতির কমতির ধারা অব্যাহত থাকবে। কেননা দুই মাস পর রোপা আমন ধান ঘরে উঠবে। চাল আমদানির পথ খোলা রয়েছে।