১৯ নভেম্বর ২০২৫, বুধবার, ০১:১৬:০৬ অপরাহ্ন
বাগমারায় হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নতুন ডিলার নিয়োগের অভিযোগ
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৯-১১-২০২৫
বাগমারায় হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নতুন ডিলার নিয়োগের অভিযোগ

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগ স্থগিতের হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে নতুন ডিলার নিয়োগ এবং তাদের মাধ্যমে চাল বিতরণের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা প্রশাসন ও খাদ্য বিভাগের বিরুদ্ধে।


ডিলার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুল আলম অভিযোগ করে বলেন, হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা জারির পর আদালতের আদেশের কপি সংযুক্ত করে ৩ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে উপজেলা খাদ্যবান্ধব কমিটিকে তিনি লিখিতভাবে অবহিত করেন। এরপরও কমিটি তড়িঘড়ি করে পিছনের তারিখ দেখিয়ে গোপনে নতুন ডিলার নিয়োগ দেয়।


তিনি আরও অভিযোগ করেন, আদালতের স্থগিতাদেশ বহাল থাকা সত্ত্বেও নভেম্বর মাসের চাল বিতরণের জন্য গত ১৮ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত ডিলারদের ডিও প্রদান করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং আদালত অবমাননার শামিল বলে মন্তব্য করেন তিনি।


২০১৬ সাল থেকে বাগমারা উপজেলায় ১৬ ইউনিয়নে ৩২ জন ডিলার নীতিমালা অনুযায়ী খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছেন। আওয়ামী লীগ সরকার পরিবর্তনের পর নতুনভাবে ডিলার নিয়োগের উদ্যোগ নেয় খাদ্য অধিদপ্তর। এর বিরোধিতা করে বিদ্যমান ডিলাররা হাইকোর্টে রিট করলে আদালত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির সব কার্যক্রম স্থগিত করেন। সেই স্থগিতাদেশ এখনও বলবৎ রয়েছে বলেও জানান ডিলার নেতারা।


ডিলার সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও রিটকারি শামসুল হক অভিযোগ করেন, হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও উপজেলা প্রশাসন ও খাদ্য বিভাগ ২৩ অক্টোবর তারিখ দেখিয়ে নতুন ডিলার নিয়োগ দেখায় এবং তাদের কাছে নভেম্বরের চাল হস্তান্তর করে। এতে বর্তমান ডিলাররা হতবাক হয়ে পড়েন।


শামসুল আলম জানান, হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করার ঘটনায় তারা সংশ্লিষ্ট আদালতে আদালত অবমাননার অভিযোগ দাখিল করবেন। এ বিষয়ে আইনজীবীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।


অন্যদিকে, ডিলার ও সাধারণ ভোক্তাদের মাঝে এ ঘটনায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিলার নেতারা।


এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলাম বলেন,

“আমি হাইকোর্টের আদেশকে সম্মান করি। ডিলার নিয়োগের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে হয়েছে। চাল বিতরণ খাদ্য অধিদপ্তরের দায়িত্ব—এখানে আমার করণীয় নেই।”


উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নবীন নওয়াজেস আমিন দাবি করেন, হাইকোর্টের আদেশ আসার আগেই ডিলার নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছিল। তবে নিয়োগপত্র এখনো ডিলারদের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি।


কিন্তু নিয়োগপত্র ছাড়াই নতুন ডিলাররা কীভাবে চাল পেল—এ বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।


স্থানীয়রা মনে করছেন, পুরো ঘটনাটি যথাযথ তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।

শেয়ার করুন