১৫ জুন ২০২৫, রবিবার, ০৩:০৩:০৫ পূর্বাহ্ন
দৈনন্দিন সুস্থতায় খেজুরের অসাধারণ উপকারিতা
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৪-০৬-২০২৫
দৈনন্দিন সুস্থতায় খেজুরের অসাধারণ উপকারিতা

খেজুর একটি অত্যন্ত সুস্বাদু ও পরিচিত ফল, যা প্রাকৃতিক চিনির বিকল্প হিসেবে পরিচিত। এটি শক্তির ভালো উৎস ও পুষ্টিতে ভরপুর। খেজুরে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, খনিজ, অ্যামাইনো অ্যাসিড, বিভিন্ন ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যা শরীরকে সুস্থ রাখে এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।


চলুন, জেনে নিই খেজুর খাওয়ার কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা।

তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায়

খেজুরে প্রাকৃতিক শর্করা যেমন গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ ও সুক্রোজ থাকে, যা দ্রুত শক্তি জোগায় ও ক্লান্তি দূর করে। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রেও একে শক্তিবর্ধক ফল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এতে থাকা ফাইবার হজমশক্তি বাড়াতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য ও অ্যাসিডিটি কমাতে সাহায্য করে।


হাড় ও জয়েন্ট মজবুত করে

খেজুরে থাকা ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম হাড়ের গঠনকে শক্তিশালী করে এবং জয়েন্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। এটি হাড়ের দুর্বলতা রোধে কার্যকর।


যৌন স্বাস্থ্য

খেজুর একটি প্রাকৃতিক কামোদ্দীপক। এটি শুক্রাণুর গুণগত মান ও পরিমাণ উন্নত করে এবং যৌন সক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।


রক্তাল্পতা দূর করে

খেজুরে প্রচুর আয়রন থাকায় এটি রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।


হৃদযন্ত্রের যত্নে

খেজুরে থাকা পটাসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং ফাইবার খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে, যা হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়ক।


ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে

খেজুরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি ত্বককে উজ্জ্বল ও তরতাজা রাখতে সহায়তা করে। বলিরেখা কমায় এবং বার্ধক্যের ছাপ প্রতিরোধ করে।


গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে উপকারী

গর্ভবতী নারীদের শক্তি ও ক্যালসিয়াম সরবরাহ করে, স্তন্যদানকারী মায়েদের দুধ উৎপাদনে সহায়তা করে।


খেজুর খাওয়া শিশুর স্বাস্থ্য উন্নত করতেও সহায়ক।

ওজন বৃদ্ধিতে সহায়ক

যারা স্বাভাবিকভাবে ওজন বাড়াতে পারেন না, তাদের জন্য খেজুর একটি স্বাস্থ্যকর ও প্রাকৃতিক বিকল্প। বিশেষ করে দুধের সঙ্গে খেলে ওজন বৃদ্ধিতে কার্যকর।


রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

খেজুরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, যা ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।


খাওয়ার সঠিক উপায়

খেজুর খাওয়ার সবচেয়ে ভালো সময় হলো সকালে। রাতে পানিতে বা দুধে ভিজিয়ে রাখা খেজুর সকালে খেলে হজমে সাহায্য করে এবং পুষ্টির শোষণ বাড়ায়। চাইলে খেজুরের সঙ্গে আমন্ড বা আখরোট মিশিয়ে খাওয়া যায়, এতে উপকারিতা আরও বাড়ে।


ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য সতর্কতা

ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা দিনে ১-২টি খেজুর খেতে পারেন। তবে এতে প্রাকৃতিক চিনি থাকায় বেশি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। তাই খাওয়ার পর রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা জরুরি।


সূত্র : আজকাল 


শেয়ার করুন