২৫ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার, ০৪:৫৭:২২ পূর্বাহ্ন
ফিলিপাইনের পণ্যের ওপর ১৯ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৩-০৭-২০২৫
ফিলিপাইনের পণ্যের ওপর ১৯ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের

ফিলিপাইন থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর ১৯ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২২ জুলাই) হোয়াইট হাউসে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের পর এক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্টে এ তথ্য জানান তিনি।


ট্রাম্প জানান, নতুন এই শুল্ক আরোপ একটি বৃহত্তর বাণিজ্য চুক্তির অংশ। চুক্তির আওতায় ফিলিপাইন যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর শুল্ক তুলে নেবে এবং দুই দেশের সামরিক সহযোগিতা আরও জোরদার হবে। পোস্টে তিনি লেখেন, 'দারুণ একটি সফর ছিল। আমরা আমাদের বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করেছি।'


তবে চুক্তির বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি ট্রাম্প। ফিলিপাইনের তরফ থেকেও আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। বিবিসি জানিয়েছে, ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত ফিলিপাইন দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।


চলতি এপ্রিল মাসে বিশ্বব্যাপী যেসব পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছিলেন ট্রাম্প, তার তুলনায় ফিলিপাইনের ওপর আরোপিত নতুন ১৯ শতাংশ হার কিছুটা বেশি। সে সময় ফিলিপাইনের জন্য প্রস্তাবিত শুল্ক হার ছিল ১৭ শতাংশ। আর জুলাইয়ের শুরুতে দেশটির নেতৃত্বের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, সম্ভাব্য হার হতে পারে ২০ শতাংশ। নতুন ঘোষণাটি সেই প্রস্তাবিত হার থেকে সামান্য কম।


যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য পরিসংখ্যান বলছে, ফিলিপাইন দেশটি তুলনামূলকভাবে ছোট বাণিজ্যিক অংশীদার হলেও ২০২৪ সালে দেশটি যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১৪.২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। এসব পণ্যের মধ্যে ছিল বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, গাড়ির যন্ত্রাংশ, বস্ত্র এবং নারিকেল তেল। বিশ্লেষকদের মতে, ১৯ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হলে এসব পণ্যের মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যাবে, যা আমদানি ও বিক্রয় কার্যক্রমে প্রভাব ফেলবে।


শুল্ক আরোপের পক্ষে যুক্তি দিয়ে ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘অন্যায্য বাণিজ্য নীতির’ প্রতিবাদ জানাতেই তিনি এই পদক্ষেপ নিচ্ছেন। তার এই ঘোষণার পর বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য আলোচনা নতুন মাত্রা পেয়েছে। এরই মধ্যে যুক্তরাজ্য, চীন এবং ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে কিছু চুক্তির ঘোষণা দিয়েছেন তিনি, যদিও এসবের বেশিরভাগই এখনো বাস্তবায়নের অপেক্ষায়।


ট্রাম্প আরও জানান, আগামী ১ আগস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্র আরও কিছু উচ্চ শুল্ক কার্যকর করতে যাচ্ছে। এর ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কানাডার মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বাণিজ্য অংশীদারদের ভবিষ্যৎ সম্পর্ক অনিশ্চয়তার মুখে পড়ছে।


এই বিষয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি জানান, বাণিজ্য ইস্যুতে বহুস্তর আলোচনার মাধ্যমে এগোনো হচ্ছে। তবে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই কোনো চুক্তিতে পৌঁছানো যাবে কি না, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, 'আমেরিকার লক্ষ্যগুলো একাধিক এবং সেগুলো সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হচ্ছে। তবে একটাই স্পষ্ট, কানাডা কোনো খারাপ চুক্তি মানবে না।'


শেয়ার করুন