২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, রবিবার, ০৬:৫৯:২৩ অপরাহ্ন
গোলাপগঞ্জে ১৭ বছর পর বিএনপির গণমিছিল
  • আপডেট করা হয়েছে : ২১-০৯-২০২৫
গোলাপগঞ্জে ১৭ বছর পর বিএনপির গণমিছিল

সিলেটের গোলাপগঞ্জে ফের চাঙ্গা হয়ে উঠছে বিএনপি। ফ্যাসিস্ট আ.লীগের সময় তারা রাজপথ তো দূরের কথা কোনো রেস্টুরেন্টেও সভা করতে পারেনি। দলীয় কার্যক্রম কোনোরকম চলতো নেতাদের বাসা-বাড়িতে। দীর্ঘ ১৭ বছর পর সেই অচলাবস্থার অবসান ঘটেছে। 


শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) কয়েকশো নেতাকর্মী নিয়ে গণমিছিল করেছে বিএনপি। উপজেলা পৌর শহরে এই গণমিছিলের আয়োজন করে উপজেলা ও পৌর বিএনপি।  


জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) আসনের বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরীর উদ্যোগে মিছিলে অংশ নেয় উপজেলার প্রায় কয়েকশো নেতাকর্মী। দীর্ঘদিন পর দলের কর্মকাণ্ড গতিশীল হওয়ায় খুশি তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।  


শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকালে গণমিছিলের পর অনুষ্ঠিত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট-৬ গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার আসনের বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেছেন, গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলার মানুষ গত ১৭ বছর ধরে উন্নয়ন বঞ্চনা ও অবহেলার শিকার। উন্নয়নের নামে সরকারি সম্পদ লুটপাট, অবকাঠামোগত অনিয়ম ও বৈষম্যমূলক নীতির কারণে এই অঞ্চলের মানুষ আজও ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। গোলাপগঞ্জ ও  বিয়ানীবাজারের রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি ও কর্মসংস্থান চরম  অবহেলার শিকার হয়েছে। উন্নয়ন প্রকল্পের রাষ্ট্রের টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। সবার আগে আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা, উন্নত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কর্মসংস্থানমুখী শিল্পায়ন, স্বাস্থ্যসেবায় আধুনিক সুবিধা এবং প্রবাসী নির্ভর অর্থনীতিকে শক্তিশালী করে টেকসই ও যুগোপযোগী উন্নয়নই আমার একমাত্র লক্ষ্য। স্থানীয় সম্পদ ও মানবসম্পদকে কাজে লাগিয়ে গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারকে একটি সম্ভাবনাময় অঞ্চলে পরিণত করাই আমার অঙ্গীকার। 


বিএনপি জনগণের দল উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা উন্নয়ন বঞ্চনার এই অধ্যায় থেকে বের হয়ে আসব। তাই গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারকে উন্নয়নের মূল স্রোতে যুক্ত করতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষ প্রতীকে বিজয়ী করতে হবে। 


এমরান চৌধুরী বলেন, বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচি জাতিকে একটি নতুন দিগন্তের পথে এগিয়ে নেবে। এই কর্মসূচি শুধু ক্ষমতার রূপরেখা নয়, বরং রাষ্ট্রের সার্বিক সংস্কার ও জনগণের মুক্তির অঙ্গীকার। ৩১ দফা কর্মসূচিই বাংলাদেশের জনগণের মুক্তির সনদ। আসুন, আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিএনপির নেতৃত্বে এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের সংগ্রামে এক সঙ্গে কাজ করি। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে দেশকে আত্মনির্ভরতার পথে নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো ও অর্থনীতির প্রতিটি ক্ষেত্রে যুগান্তকারী অবদান রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়েছেন। আর বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্বেই একটি আধুনিক, সুখি, সমৃদ্ধ ও স্বনির্ভর রাষ্ট্র বিনির্মাণ সম্ভব। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে ধানের শীষ প্রতীককে বিজয়ী করতে হবে। আগামী নির্বাচনে ধানের শীষ বিজয়ী হলে এবং বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলায় অবকাঠামো, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন হবে ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। বিএনপিকে ভোট দিলে এই অঞ্চলের উন্নয়ন হবে জাতীয় উন্নয়নের মডেল।




শেয়ার করুন