ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, পৃথিবীতে যত প্রধানমন্ত্রী রয়েছেন, তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তা ঝুঁকিতে আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাৎবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবসের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, প্রকট ঝুঁকি মাথায় রেখেই প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৈরি করা হবে বিশেষ নিরাপত্তা বলয়। তবে দৃশ্যমান বা অদৃশ্যমান কোনো জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই। নৌ-টহলও অবস্থান করবে। সোয়াটসহ গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন নিয়োজিত রয়েছে।
নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা মাথায় রেখে সবাইকে ব্যাগ কিংবা বাক্স নিয়ে না আসার অনুরোধ জানিয়ে এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সবধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দর্শনার্থীদের জন্য ধানমন্ডি-৩২ নম্বর খুলে দেওয়া হবে বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, রাসেল স্কয়ারের দিক দিয়ে জনসাধারণ ৩২ নম্বরে প্রবেশ করবেন এবং পশ্চিম দিক দিয়ে বের হয়ে যাবেন। চারদিকে নিরাপত্তা বেস্টনীর সঙ্গে সঙ্গে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের বেরিকেড থাকবে। নির্ধারিত রুটম্যাপ অনুসরণ করে আসলে সবাই কম সময়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে চলে যেতে পারবেন। এর বাইরে রোড লাইনিং, ছাদে পুলিশ সদস্য মোতায়েনসহ সাদা পোশাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবে। সিটিটিসিও তাদের গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। মোবাইল পেট্রোল থাকবে, মানুষজন যাতে ৩২ নম্বরে ঢোকার আগে যথাযথ নিরাপত্তা তল্লাশি হয়, সেজন্য আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে তল্লাশি করা হবে। অনুরোধ করবো ব্যাগ বা ব্যাকপ্যাক নিয়ে যেন কেউ না আসেন।
মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের বোম্ব ডিসপোজাল ও সোয়য়াত টিম সবসময় প্রস্তুত থাকে। এখানে স্থাপিত কন্ট্রোলরুম থেকে সবকিছু মনিটরিং করা হবে। যাতে সার্বক্ষণিক আমরা দেখতে পারি এবং যখন যেখানে প্রয়োজন ব্যবস্থা নিতে পারি।