কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজায় ভাগনির মেহেদি অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে এক স্কুলশিক্ষিকাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত ১৯ আগস্ট সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটলেও মামলা হয়েছে সোমবার (২২ আগস্ট) রাত ১২টার দিকে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. সেলিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের ছনখোলা ইউনূছঘোনা এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে বেদার মিয়া (২৮) ও অজ্ঞাত পরিচয় আরও দুইজনকে আসামি করা হয়েছে।
ওই শিক্ষিকা মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, গত ১৮ আগস্ট রাতে তিনি কক্সবাজার সদরের পিএমখালীর মালিপাড়া থেকে এক ভাগনির মেহেদি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। সেখানে কথা হয় বেদার মিয়ার সঙ্গে। কিছুক্ষণ কথাও বলেন। পরদিন ১৯ আগস্ট সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ওই স্বজনের বাড়ি থেকে ইজিবাইক যোগে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে ঝিলংজা ইউনিয়নের বাংলাবাজার ব্রিজ নামক এলাকায় পৌঁছালে গতিরোধ করে বেদার ও তার সহযোগীরা তাকে টেনে তাদের ইজিবাইকে তুলে নেয়। তারপর দেশীয় অস্ত্রের ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই ইউনিয়নের চান্দের পাড়ার একটি নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে পালাক্রমে বেদারসহ তিনজন ধর্ষণ করে। তখন তিনি চিৎকার ও কান্নাকাটি শুরু করলে তারা পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী শিক্ষিকার স্বজনরা জানান, ওই শিক্ষিকা রামুর চাকমারকুলের একটি বিদ্যালয়ে কর্মরত। বছরখানেক আগে তার বিয়ে হয়েছিল। শারীরিক অসুস্থতার কারণে ওই স্বামীর সঙ্গে তার বিবাহবিচ্ছেদ হয়। ধর্ষণের ঘটনা পরিবারের লোকজন জানার পর থানায় যোগাযোগ করা হয়। প্রথমে রামু থানা, সেখান থেকে কক্সবাজার সদর মডেল থানা। মামলা নিতে চাচ্ছিল না। পরে সোমবার (২২ আগস্ট) রাতে মামলা নিয়েছে কক্সবাজার সদর মডেল থানা।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. সেলিম উদ্দিন বলেন, ভুক্তভোগী নারীর এজাহার পাওয়ার পর মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।