নেপাল জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সন্দীপ লামিছানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন দেশটির একটি আদালত।
এর আগে এ ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়।
নেপাল পুলিশের মুখপাত্র তেক প্রসাদ রাই সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্টকে বলেন, দুদিন আগে অভিভাবককে সঙ্গে নিয়ে থানায় লামিছানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ করেন ১৭ বছর বয়সি এক তরুণী।
ওই তরুণীর অভিযোগ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘স্ন্যাপচ্যাট’-এ লামিছানের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। দুজনের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর তাকে ভুলিয়ে ভালিয়ে গত ২১ আগস্ট ভক্তপুরে কাঠমান্ডুর একটি হোটেলে তাকে নিয়ে যায় লামিছানে। রাতে ওই কিশোরী মধ্য বানেশ্বরে নিজের হোস্টেলে ফিরে যেতে চাইলেও লামিছানে বাধা দেন। আর সেখানে একটি কক্ষে তরুণীকে দুবার ধর্ষণ করেন লামিছানে।
হোস্টেল আটটার মধ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হোটেলে লামিছানের সঙ্গে রাত কাটাতে বাধ্য হন বলে জানান ওই তরুণী।
অভিযোগের পর পর মেডিকেল পরীক্ষার জন্য তরুণীকে ‘ওয়ান ডোর ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টারে’ নিয়ে যাওয়া হয় পরীক্ষার ফল এখনো হাতে আসেনি পুলিশের। তার আগেই লামিছানেকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন আদালত।
এ নির্দেশের সময় নেপালে নেই লামিছানে। বর্তমানে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) জ্যামাইকা তালাওয়াসের হয়ে খেলছেন ২২ বছর বয়সি লেগ-স্পিনার। তাই এ ক্রিকেটারকে জামাইকায় গিয়ে গ্রেফতার করা হবে নাকি দেশে ফিরলে, সে সম্পর্কে কোনো তথ্য জানায়নি নেপাল পুলিশ।
তবে পুরো প্রতিযোগিতা না খেলে লামিছানের দেশে ফেরার সম্ভাবনাও কম।
এদিকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব নেপাল (সিএএন) জাতীয় দলের অধিনায়ককে নিষিদ্ধ করেছে।
প্রসঙ্গত, নেপালের ক্রিকেটের পোস্টার বয় লামিছানে। তিনিই নেপালের একমাত্র ক্রিকেটার যিনি আইপিএলে খেলেছেন। ২০১৮ সালে দিল্লির হয়ে বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে অভিষেক হয় তার।
সে টুর্নামেন্টে তিন ম্যাচ খেলে ৫ উইকেট নেন তিনি। পরের বছর দিল্লির হয়ে ছ’টি ম্যাচ খেলেন লামিছানে। নেন আটটি উইকেট। ২০২০ সালে তাকে ছেড়ে দেয় দিল্লি।
তার পরে আর আইপিএলে খেলার সুযোগ না পেলেও বিশ্বময় আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি লিগে তার কদর বাড়ে বহুগুণে।
২০২১ সালে নেপালের জাতীয় দলের অধিনায়ক জ্ঞানেন্দ্র মল্লকে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়। সেই জায়গায় দলের অধিনায়ক করা হয় লামিছানেকে।