টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে আফগানদের কাছে ৬২ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের দেওয়া ১৬১ রানের টার্গেটের জবাবে খেলতে নেমে টাইগাররা থেমেছে ৯৮ রানে, হারিয়েছে ৯ উইকেট।
এই হারের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের জন্য নতুন কিছু নয়। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশ যত ম্যাচ জিতেছে, হেরেছে তার দ্বিগুণ। কিন্তু হারের ব্যবধান এতো যে, ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মোসাদ্দেকও তেমন কোনো জবাব দিতে পারলেন না।
বরাবরের মতো আজকের প্রস্তুতি ম্যাচেও রান করতে ব্যর্থ টপঅর্ডারের ব্যাটাররা। শান্তর ১২ রানের পর সৌম্য করেছেন ১ রান। এ ছাড়া ৩১ বলে ১৬ রান করে ফিরেছেন মিরাজ। এমন পারফরম্যান্সের পরও টপঅর্ডারেই ভরসা রাখছেন অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক। জানালেন টপঅর্ডারেরই এখন দেওয়ার পালা।
তিনি বলেন, বলতে গেলে অনেক কিছুই বলা যায়। সবশেষ সিরিজে আমরা জিততে পারিনি। এখানে এসে প্র্যাকটিস ম্যাচও জিততে পারিনি। হারতে থাকলে অনেক কিছুই বের হয়ে আসে যে অনেক সমস্যা, এভাবে চিন্তা করলে অনেক কিছুই আসে। তবে যদি আমরা পজিটিভ চিন্তা করি, তা হলে বলব— এ ম্যাচে পজিটিভ কিছুই ছিল না। তবে আগের সিরিজটাতে পজিটিভ অনেক কিছু ছিল। দল হিসেবে আমি মনে করি যে আমরা উন্নতি করছি।
সাম্প্রতিক সময়ে ‘ইন্টেন্ট’, ‘ইম্প্যাক্ট’— এসব নিয়ে অনেক আলোচনা চলছে বাংলাদেশের ক্রিকেটে। টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট শ্রীধরন শ্রীরাম থেকে শুরু করে ক্রিকেটারদের কণ্ঠে এসবের কথা শোনা গেছে বারবার। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে সব উধাও। এখানে দায়টা নিজেদের কাঁধেই নিলেন মোসাদ্দেক।
মোসাদ্দেক বলেন, ইম্প্যাক্ট, এক্সিকিউশন— এসব খারাপ কিছু নয়। ক্রিকেটে খুবই ভালো কথা এগুলো, যদি আমরা সেগুলো বাস্তবায়ন করতে পারি। যেহেতু আমরা তা পারছি না, হয়তো এ জন্য দল হিসেবে ভালো করছি না। টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ২০ রানে ৪ উইকেট পড়ে গেলে কাজ খুবই কঠিন, সেটি ১২০ রান তাড়া করলে হোক বা ১৬০। এগুলো আমরা এক্সিকিউট করতে পারলে দল হিসেবে ভালো করব।
তিনি আরও বলেন, ১৬০ রানের মধ্যে আমরা একটা দলকে রাখতে পারছি, এটি আমাদের তাড়া করা উচিত। আগেও বললাম যে দল হিসেবে ভালো করতে পারছি না। এই সময়ে আমাদের টিমমেট যারা আছি, সাপোর্ট স্টাফ সবার একসঙ্গে থাকাটা এবং ক্রিকেটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবারই একসঙ্গে থাকাটা জরুরি। যেহেতু আমাদের সময়টা খারাপ যাচ্ছে। একসঙ্গে থাকলে যখন আমরা দল হিসেবে ভালো করতে শুরু করব, তখন অবশ্যই ভালো করব।