২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ০৫:১৫:৫৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
এমটিএফই কেলেঙ্কারি: দায় কার রাজশাহী ও নওগাঁর ২ গ্রামে যাচ্ছে শহরের সুবিধা বিশ্বে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমলেও দেশে বাড়ছে নির্বাচনে বিএনপি আসুক বা না আসুক—বিকল্প রেখে আওয়ামী লীগের ভোটের ছক রাজশাহীতে 'আইসিটি ইন এডুকেশন লিটারেসি ট্রাবলস্যুটিং ও মেইনটেনেন্স 'বিষয়ক ১০ দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণের সমাপনী বেনাপোল কাস্টমসের ১৯ কেজি সোনা চুরি: সাক্ষ্য গ্রহণেই আটকা বিচার ২০৪০ সালে শীর্ষ ২০ অর্থনীতির একটি হবে বাংলাদেশ আ.লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের বিলবোর্ড ব্যানার খুলে ফেলার অভিযোগ এবার সত্যিই মারা গেছেন বাংলাদেশের সাবেক কোচ হিথ স্ট্রিক ১৭ ব্যাংককে ৫০ হাজার কোটির বিশেষ সুবিধা
রাজশাহীতে ৩০ মামলার ২৬ শিশু আসামির বিকল্প সাজা
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-১১-২০২২
রাজশাহীতে ৩০ মামলার ২৬ শিশু আসামির বিকল্প সাজা

রাজশাহীতে ৩০ মামলার রায়ে ২৬ শিশু আসামিকে ১০ শর্তে ছয় মাস মেয়াদে প্রবেশন দিয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২। মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের বিচারক মুহা. হাসানুজ্জামান এই আদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের মধ্যে ২৫ জন ছেলে ও একজন মেয়ে।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নাসরিন আক্তার মিতা বলেন, মাদক পরিবহণ ও ধর্ষণ চেষ্টাসহ বিভিন্ন মামলা ছিলো ওই ২৬ শিশুর বিরুদ্ধে। তাদের সবারই এটি প্রথম মামলা।

তিনি বলেন, আর কোন দিন তারা এ ধরনের অপরাধে জড়াবে না শপথ পাঠ করেছে। একই সঙ্গে তাদের দুইটি করে ভালো কাজ করার নির্দেশে দিয়েছেন আদলত। রায় কার্যকরের এই বিষয়টি সমাজসেবা প্রবেশনারি অফিসারকে মনিটরিং করতেও বলা হয়েছে। প্রতি দুই মাস পর পর তাদের বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। আগামী বছরের ১৫ মে তারা মামলা থেকে অব্যাহতি পাবে।

তিনি বলেন, বিকল্প পন্থায় তাদের সংশোধনের সুযোগ দিয়েছে আদালত। বাংলাদেশে প্রথম এক সাথে এত বেশি শিশুকে এই রকমের দণ্ড দেয়া হলো। তাদের মেন্টাল চেঞ্জের কারণেই এমন রায় দিয়েছেন আদলত।

রাজশাহী সমাজসেবা প্রবেশনারী অফিসার মতিনুর রহমান বলেন, আদালতে এটি একটি ভালো আদেশ দিয়েছেন। আদালত ওই শিশুদের অপরাধের ধরণ দেখে ভালো কাজ কী কী করবে সেটি ঠিক করতে বলেছেন। এছাড়াও তাদেরকে মাদকে না জড়ানো, বাল্য বিবাহ না করা, পিতা-মাতার সাথে সদ্য ব্যবহার করার, মারামারিতে জড়ানো এসব ধরনের কাজ থেকে রিবত থাকতে বলেছেন।

তিনি বলেন, এটি একটি বিরল রায়। এর আগে কখনও এটি হয়নি। রাজশাহীতে প্রথম এই ধরনের রায়ের ব্যবহার হলো। আমার এখন তাদের মনিটরিং করবো ও তাদের আরও ভালো কাজগুলো ঠিক করে দেবো।

শেয়ার করুন