২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৫:৫৭:৩৪ অপরাহ্ন
বাঘায় আনসার ভিডিপির সমাবেশ
  • আপডেট করা হয়েছে : ০২-১২-২০২২
বাঘায় আনসার ভিডিপির সমাবেশ

রাজশাহীর বাঘায় উপজেলা আনসার-ভিডিপির সমাবেশ উপলক্ষে র‌্যালি, আলোচনা সভা ও পুরুস্কার বিতরণ করা হয়েছে।

বৃহসপতিবার(১ডিসেম্বর) উপজেলা আনসার-ভিডিপি কার্যালয় এর আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্বে করেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার শারমিন আখতার। সমাবেশে বেতনভাতা বৃদ্ধির দাবি জানান আনসার-ভিডিপির সদস্যরা।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি, রাজশাহীর আনসার ব্যাটালিয়ন (৪) এর পরিচালক ও জেলা কমান্ডেন্ট (অতিঃ দায়িত্ব) কামাল হোসেন বলেন, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী(ভিডিপি)’র সদস্যরা দেশের সার্বিক আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। সারা দেশেই অর্থনীতির চালিকাশক্তি কলকারখানাসহ বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা বিধানে আনসার সদগস্যগণ কঠোর পরিশ্রম আর নিষ্ঠার সাথে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে। নিয়মিত প্রশিক্ষণের পাশাপাশি এ বাহিনী যুব ও নারীদেরকে বিভিন্ন পেশায় বিনামূল্যে কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি ও আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে কাজ করে যাচ্ছে।

বিশেষ অতিথি ওসি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের সকল উন্নয়ন কর্মকান্ডে সাফল্যের অন্যতম অংশীদার। জনসম্পৃক্ত সুশৃঙ্খল এ বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, পরিবার পরিকল্পনা, জনস্বাস্থ্য, দুর্যোগ মোকাবিলা, পরিবেশ রক্ষা, বৃক্ষরোপণ, নারী ও শিশুপাচার রোধ এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাসহ বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে অনবদ্য অবদান রাখছে। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্তিত ছিলেন,কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান।

নির্বাহি অফিসার শারমিন আখতার বলেন,নারীর ক্ষমতায়ন, জনকল্যাণ ও উন্নত জাতি গঠনে এ বাহিনীর বহুমুখী উন্নয়নমূলক কর্মতৎপরতা সত্যিই প্রশংসনীয়।

এছাড়াও খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড এ বাহিনীর সদস্যরা অসামান্য কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে চলেছে। ইতিহাসের প্রতিটি বাঁকেই আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। মহান মুক্তিযুদ্ধে এ বাহিনীর অবদান দেশের ইতিহাসকে মহিমান্বিত করেছে।

স্বাগত বক্তব্যকালে উপজেলা আনসার-ভিডিপি অফিসার মিলন দাস বলেন,স্বাধীনতা যুদ্ধকালে প্রায় ৪০ হাজার রাইফেল নিয়ে আনসার সদস্যরা স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেয়। যুদ্ধে আনসার বাহিনীর ৯ জন কর্মকর্তা, ৪ জন কর্মচারী ও ৬৫৭ জন আনসারসহ সর্বমোট ৬৭০ জন শহীদ হন। বাহিনীর ১ জন বীর বিক্রম এবং ২ জন বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত হন। ১৯৪৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি আনসার বাহিনী প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,বাঘা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক নুরুজ্জামান, ও আনসার ভিডিপির সদস্য আসাদুজ্জামান,শাপলা খাতুন। আলোচনাসভা শেষে অতিথিদের সন্মাননা ক্রেষ্ট ও উপজেলা আনসার-ভিডিপির দলনেতা ও দলপতিদের পুরুস্কার প্রদান করা হয়।

শেয়ার করুন