আজ বেলা সোয়া তিনটায় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় ও দলীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে ছাত্রলীগের শোভাযাত্রা কর্মসূচির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এ সময় মঞ্চে ছিলেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের অনেকেই। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। এরপর বক্তব্য দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। সাদ্দামের বক্তব্যের পর উদ্বোধকের বক্তব্য নিয়ে আসেন ওবায়দুল কাদের।ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য চলার মধ্যেই ৪টা ১০ মিনিটে ভেঙে পড়ে মঞ্চ।
প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, মঞ্চ ভেঙে পড়ে যান বক্তব্যরত ওবায়দুল কাদেরও। তবে তিনি তেমন গুরুতর আঘাত পাননি। পড়ে গিয়ে আহত ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীসহ বেশ কয়েকজন। মঞ্চে ধারণক্ষমতার বেশি লোক ওঠায় মঞ্চ ভেঙে পড়েছে বলে ধারণা প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিদের।
অবশ্য মঞ্চ ভেঙে যাওয়ার পর নিজেকে সামলে নিয়ে ৪টা ১৭ মিনিটে ছাত্রলীগের শোভাযাত্রার উদ্বোধন ঘোষণা করেন ওবায়দুল কাদের। এ সময় তিনি বলেন, এত নেতা আমাদের দরকার নেই। দরকার কর্মী। স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট কর্মী দরকার। যেকোনো অনুষ্ঠানে গেলে সামনের লোকের চেয়ে মঞ্চে লোক বেশি। এত নেতা কেন? নেতা উৎপাদনের এত বড় কারখানা আমাদের দরকার নেই। ছাত্রলীগ হোক কর্মী উৎপাদনের কারখানা। ঠিক আছে? এ কথা বলে আমি ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রার শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করছি।