২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৯:৫৬:১৩ অপরাহ্ন
গাজায় হামাসকে লক্ষ্য করে ইসরাইলের রকেট হামলা
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-০২-২০২৩
গাজায় হামাসকে লক্ষ্য করে ইসরাইলের রকেট হামলা

গাজা উপত্যকায় হামাসকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি রকেট হামলা করেছে ইসরাইল। ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, হামাসের রকেট উৎপাদন কারাখানা ধ্বংস করার জন্য এ হামলা চালানো হয়েছে। খবর রয়টার্সের। 

সোমবার সকালে ইসরায়েলের এ হামলায় এখন্ও পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। 

সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনের সফরের পর ইসরাইল ফিলিস্তিনের মধ্যে সংঘাত দেখা দেয়। এর কয়েকদিন পর সোমবার ফের হামলা চালানো হলো। এ হামলার ব্যাপারে এখনও কোন প্রতিক্রিয়া দেখায়নি হামাস। 

২০০৭ সালে গাজার নিয়ন্ত্রণ নেয় হামাস। ইসরাইয়ের বিপক্ষে অনেকবার যুদ্ধে জড়ায় গোষ্ঠিটি। 
এদিকে জেরুজালেম ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরাইলি কর্মকাণ্ড আঞ্চলিক অশান্তিতে  আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে আরব ও ইসলামিক দেশগুলোর বেশ কয়েকজন নেতা এবং সিনিয়র কর্মকর্তা সতর্ক করে দিয়েছেন।

রোববার কায়রোতে আরব লীগের এক বৈঠকে সাম্প্রতিক ইসরাইল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সহিংসতা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে এই সতর্ক করেন তারা।

আরব লিগ আয়োজিত ওই বৈঠকটিতে মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসি, জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ এবং ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসসহ অনেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের পরিসংখ্যান বলছে, এ বছরে এ পর্যন্ত ৪৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আর ইসরাইলি পক্ষের নিহত হয়েছেন ১০ জন।

বৈঠকে বক্তারা জেরুজালেম এবং পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বাহিনীর বাড়িঘর ধ্বংস ও বসতি সম্প্রসারণের ‘একতরফা পদক্ষেপের’ নিন্দা জানান।

এ বিষয়ে ইসরাইল সরকারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, তার প্রশাসন জাতিসংঘ ও এর সংস্থাগুলোর কাছে যাবে এবং দ্বন্দ্ব নিরসনে একটি দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান দাবি করবে।

তিনি বলেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র আমাদের জনগণের বৈধ অধিকার রক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক আদালত ও সংস্থার কাছে যাওয়া অব্যাহত রাখবে।

কায়রোতে রোববারের বৈঠকের পর একটি চূড়ান্ত বিবৃতি দেয়া হয়।এতে ‘ইসরাইলের পদ্ধতিগত নীতির’ নিন্দা করা হয়। তাদের লক্ষ্যকে জেরুজালেমের ‘আরবএবংইসলামিক সংস্কৃতি এবং পরিচয়’ ‘বিকৃত ও পরিবর্তন’বলে উল্লেখ করা হয়।

ইসরাইলের কথিত যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রতিও আহ্বান জানানো হয় বিবৃতিটিতে।

শেয়ার করুন