২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৭:২০:৪৮ অপরাহ্ন
যেভাবে মায়ের নিখোঁজের নাটক সাজিয়েছিলেন মরিয়ম মান্নান
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-০২-২০২৩
যেভাবে মায়ের নিখোঁজের নাটক সাজিয়েছিলেন মরিয়ম মান্নান

জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মা রহিমা বেগমকে আত্মগোপনে রেখেছিলেন মরিয়ম মান্নান। এর পর অপহরণের নাটক সাজিয়েছিলেন তিনি। এমনটিই উঠে এসেছে রহিমা বেগম অপহরণ মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে। 

সোমবার সকালে আদালতে ওই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

প্রতিবেদনে মরিয়ম মান্নান, তার মা রহিমা বেগম ও মামলার বাদী ছোট বোন আদুরী আক্তারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে ওই মামলায় ফাঁসানো আসামিদের। 

আজ দুপুর ১২টার দিকে খুলনা পিবিআই কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা জানিয়েছেন খুলনা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান।

মুশফিকুর রহমান বলেন, আজ সকালে আদালতে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। নিয়মানুযায়ী বাদীকে ওই তদন্ত প্রতিবেদনের ব্যাপারে জানানো হয়েছে। পরবর্তী সময় তা লিখিত আকারেও জানানো হবে। 

তিনি বলেন, মরিয়ম মান্নানের মা রহিমা বেগম যে রাতে নিখোঁজ হয়েছিলেন, সেদিন বিকালে মাকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এক হাজার টাকা পাঠিয়েছিলেন মরিয়ম মান্নান। এর ২০-২৫ দিন আগে ঢাকায় গিয়ে মরিয়ম মান্নানের বাড়িতে কয়েক দিন থেকেও এসেছিলেন রহিমা বেগম। পুলিশের তদন্তে এসব কথা উঠে এসেছে।

তদন্তকারী কর্মকর্তার ধারণা, বেশ আগে থেকেই পরিকল্পনা নিয়ে রহিমা বেগমের নিখোঁজের নাটক সাজিয়েছিলেন মরিয়ম মান্নান। মূলত জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিবেশীকে ফাঁসাতে ওই পরিকল্পনা করা হয়। ওই ঘটনার আগেও রহিমা বেগম বহুবার কাউকে না জানিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু কিছু দিনের মধ্যে আবার ফিরে আসেন। 

২০২২ সালের ২৭ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে খুলনার দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশার বণিকপাড়া থেকে রহিমা বেগম নিখোঁজ হন বলে অভিযোগ করেন তার পরিবারের সদস্যরা। ওই দিন রাত ২টার দিকে খুলনা নগরের দৌলতপুর থানায় মায়ের অপহরণের অভিযোগে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন রহিমা বেগমের ছেলে মিরাজ আল সাদী। রহিমা বেগমকে অপহরণ করা হয়েছে এমন অভিযোগ তুলে পর দিন ওই থানায় মামলা করেন রহিমা বেগমের মেয়ে আদুরী আক্তার। মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে তাদের প্রতিবেশী মঈন উদ্দিন, গোলাম কিবরিয়া, রফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ জুয়েল ও হেলাল শরিফের নাম উল্লেখ করা হয়। ওই সময় তাদের গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। বর্তমানে তারা জামিনে রয়েছেন।
ওই বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে অক্ষত ও স্বাভাবিক অবস্থায় রহিমা বেগমকে উদ্ধার করে পুলিশ। বর্তমানে রহিমা বেগম তার মেয়ে আদুরী আক্তারের জিম্মায় খুলনা শহরের একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন।

শেয়ার করুন