২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৯:৫৫:১৩ অপরাহ্ন
৫ বিলিয়ন ডলার পেতে মরিয়া শ্রীলঙ্কা
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-০৬-২০২২
৫ বিলিয়ন ডলার পেতে মরিয়া শ্রীলঙ্কা

জ্বালানির মতো আবশ্যক পণ্যগুলোর আমদানি ব্যয় মেটানোর জন্য পাঁচ বিলিয়ন (৫০০ কোটি) মার্কিন ডলার জোগাড় করতে মরিয়া তৎপরতা চালাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। পাশাপাশি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে আরও ১০০ কোটি ডলার চায় দেশটি। বৃহস্পতিবার (২ জুন) লঙ্কান প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর রয়টার্সের।


প্রায় সাত দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দক্ষিণ এশীয় দ্বীপরাষ্ট্রটি। কমতে কমতে তাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। তার ফলে খাদ্য, জ্বালানি, ওষুধ, সারের মতো প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করতে পারছে না লঙ্কান সরকার। গত এপ্রিলে শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে মাত্র ১৮১ কোটি ডলারে।


গত মাসে ক্ষমতায় বসা শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে এরই মধ্যে সরকারের আয় বাড়াতে ট্যাক্সের হার বাড়িয়েছেন। আসন্ন অন্তর্বর্তী বাজেটে কঠোরভাবে ব্যয় কমানোরও পরিকল্পনা রয়েছে তার।



এছাড়া আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সহায়তা প্যাকেজের জন্যেও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে লঙ্কান সরকার। আলোচনা সফল হলে সংস্থাটির কাছ থেকে অন্তত ৩০০ কোটি ডলার ঋণ পেতে পারে শ্রীলঙ্কা।


প্রধানমন্ত্রী এবং স্থানীয় চেম্বার অব কমার্সের মধ্যে আলোচনার কথা উল্লেখ করে বিক্রমাসিংহের কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, আইএমএফের সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং চলতি মাসের শেষের দিকে তা শেষ হবে বলে আশাবাদী তিনি (প্রধানমন্ত্রী)। বিক্রমাসিংহে বলেছেন, যেকোনো ধরনের স্বল্পমেয়াদী অর্থায়ন নির্ভর করছে শ্রীলঙ্কা ও আইএমএফ একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর ওপর।


দ্বীপরাষ্ট্রটি এখন পর্যন্ত ভারতের কাছ থেকে দুই দফায় ১৫০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা পেয়েছে। জ্বালানি আমদানির জন্য দুই প্রতিবেশীর মধ্যে আরও ৫০ কোটি ডলার ঋণের বিষয়ে কথাবার্তা চলছে।


জাপানসহ অন্য দেশগুলোর কাছেও সাহায্যের জন্য অনুরোধ করেছে শ্রীলঙ্কা। তবে ২০২০ সালে কলম্বো ১৫০ কোটি ডলারের একটি রেলওয়ে প্রকল্প বাতিলের পর থেকে টোকিওর সঙ্গে সম্পর্ক অনেকটাই শীতল হয়ে পড়েছে। ওই প্রকল্পে বেশিরভাগ অর্থায়ন করার কথা ছিল জাপানের।


লঙ্কান প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, জাপানের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার সম্পর্ক ভেঙে গেছে। সেটি মেরামত করতে এবং জাপানিদের আস্থা ফিরে পেতে কিছুটা সময় লাগবে।

শেয়ার করুন