২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০৪:৩৫:০০ অপরাহ্ন
সারা দেশে আরো ১৩২ সরকারি হাসপাতালে বৈকালিক কনসালটেশন চালু
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৪-০৬-২০২৩
সারা দেশে আরো ১৩২ সরকারি হাসপাতালে বৈকালিক কনসালটেশন চালু

চলতি বছরের মার্চে সরকারি হাসপাতালে বৈকালিক কনসালটেশন বা ইনস্টিটিউশনার প্র্যাকটিস চালু করে সরকারের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। একটি নীতিমালার আলোকে এ সেবা পরিচালিত হচ্ছে। সারা দেশের আরো ১৩২টি সরকারি হাসপাতালে এ কনসালটেশন চালু করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দ্বিতীয় দফার বৈকালিক কনসালটেশনের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। 


স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ মার্চ প্রাথমিকভাবে ৫১টি সরকারি হাসপাতালে ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস বা বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা শুরু হয়েছিল। গতকাল দ্বিতীয় দফায় চালুর মাধ্যমে ১৮৩টি সরকারি হাসপাতালে বৈকালিক চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম চালু করা হলো। এ কার্যক্রমে বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক, সিনিয়র কনসালট্যান্টরাও রোগী দেখবেন। এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে ফি নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় চালু হওয়া কনসালটেশনের মধ্যে রয়েছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতাল, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) এবং জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল।


উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জাহিদ মালেক বলেন, ‘ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিসকে জনগণ ভালোভাবে নিয়েছে। চিকিৎসকরাও এ পদ্ধতিতে খুশি। যেহেতু এ প্রক্রিয়া ফলপ্রসূ হয়েছে এবং চাহিদা বাড়ছে সেজন্য আরো ১৩২টি হাসপাতালে ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিসের আওতায় আনছি। আমরা চেষ্টা করব নতুন এসব প্রতিষ্ঠানে আরো ভালোমানের সেবা নিশ্চিত করতে। এর আগে ৫১টি এবং এ ধাপে ১৩২টিসহ মোট ১৮৩টি হাসপাতালে এ সেবা চালু থাকবে। আগামীতে এ সেবার মাধ্যমে আমাদের স্ব্যস্থ্যসেবার মান আরো বাড়বে।’


স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস চালু হওয়া ৫১টি হাসপাতালে গত দুই মাসে যারা চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন তাদের মধ্যে ৭২৫ জনের অস্ত্রোপচার হয়েছে। ইনভেস্টিগেশন বা রোগ নির্ণয় হয়েছে ৪ হাজার ১৪০ জনের। এতে ফি হিসেবে পাওয়া গেছে ৫১ লাখ টাকা। বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবায় অধ্যাপকের ফি হবে ৫০০ টাকা। এতে তিনি পাবেন ৪০০, চিকিৎসাসেবায় সহযোগিতাকারী ৫০ এবং সার্ভিস চার্জ ৫০ টাকা ধরা হয়েছে। এভাবে সহযোগী অধ্যাপকের ফি ৪০০ হলেও তিনি পাবেন ৩০০ টাকা, সহকারী অধ্যাপকের ফি ৩০০ টাকা, তিনি পাবেন ২০০ এবং এমবিবিএস বা বিডিএস ও সমমানের চিকিৎসকদের ফি হবে ২০০ টাকা, তিনি পাবেন ১৫০ টাকা। এক্ষেত্রে চিকিৎসাসেবায় সহযোগিতাকারীর জন্য ২৫ টাকা এবং সার্ভিস চার্জ ২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবায় ছোট অস্ত্রোপচার ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এক্স-রে, আল্ট্রাসনোগ্রাফিসহ প্রয়োজনীয় রোগ নির্ণয়ের সুবিধা থাকছে। এসব সেবারও মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। 

শেয়ার করুন