রাজশাহী নগরীর আসাম কলোনী এলাকায় মো. রশিদ সরদারের (৬৪) বিরুদ্ধে ৫ টাকার লোভ দেখিয়ে সাত বছরের এক কন্যা শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। আরএমপির চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্ত রশিদকে আটক করা হয়েছে। শনিবার (১৭ জুন) রাত ১০টার দিকে স্থানীয়দের সহযোগীতায় আসাম কলোনী (নিউ কলোনী) এলাকা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।
রশিদ সরদারের গ্রামের বাড়ি ঢাকা মুন্সিগঞ্জ। তার বাবার নাম মিঠু সরদার। চন্দ্রিমা থানার আসাম কলোনী (নিউ কলোনী) এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন রশিদ। নিজ বাড়ির সামনে তার একটি লন্ড্রির দোকান রয়েছে।
ভুক্তভোগী শিশুটির মা জানান, আটককৃত রশিদ সরদার ও শিশুটির পরিবার একই এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। শনিবার বেলা ১২টার দিকে শিশুটি তার ছোট ভাইয়ের (৩) সঙ্গে খেলার সময় ৫ টাকার লোভ দেখিয়ে কৌশলে রশিদ তার লন্ড্রির দোকানে এ জঘণ্যতম কাজটি করেন। এসময় শিশুটির মা ও বাবা বাড়ির বাইরে ছিলেন। সন্ধ্যার পর বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে ৯৯৯ এ সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই লম্পট বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করে এবং শিশুটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
শিশুর মা জানান, সন্ধ্যার পর আমি বাসায় ফিরে মেয়ের গায়ে হাত দিতেই দেখি তার গায়ে ব্যাপক জ্বর। এছাড়া আমার মেয়ে স্পর্শকাতর জায়গায় ব্যথা করছে এমন কথা আমাকে জানালে তার কাছ থেকে বিস্তারিত আরও জানার চেষ্টা করি। আমার মেয়ে জানায়, দুপুরের দিকে বাড়ির সামনে পাকা রাস্তার ওপর তার ছোট ভায়ের সাথে খেলা করছিল। এসময় আমার ছেলেকে রশিদ তার লন্ড্রির দোকানে ধরে নিয়ে যায়। পরে আমার মেয়েকে বলে তোর ভাইকে এসে নিয়ে যা। মেয়েটি তার দোকানে গেলে দোকানে সাটার নামিয়ে দেয় ওই বিকৃত মানুষিকতার বৃদ্ধটি। এসময় আমার ছোট ছেলের সামনেই হাত দিয়ে তার লালসা মিটিয়ে শিশুটির সর্বনাশ করে এবং হাতে ৫টাকা ধরিয়ে ভয়ভীতি দেখায় বৃদ্ধ রশিদ।
স্থানীয়রা জানান, রশিদ সরদার একজন নরপিচাশ। কারন তার নিজের কন্যা সন্তানও রশিদের কাছে নিরাপদ না। এ কারণে তার স্ত্রী মেয়েদের সব সময় নিষেধ করেন তার বাবার কাছে না যাওয়ার জন্য। এর আগে বাবার চরিত্রহীন কর্মকান্ডের কারনে রশিদের এক সন্তান গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে বলেও জানান স্থানীয়রা।
শিশুটির মা বলেন, আমি ধর্ষক রশিদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি যাতে করে আমার মেয়ের মতো আর কোনো মেয়ে ধর্ষণের শিকার না হয়।
চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম জানান, শিশু ধর্ষণ চেষ্টায় একজনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। রবিবার শিশুটিকে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) শারীরিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।