আসন্ন চট্টগ্রাম-১০ আসনে উপ-নির্বাচনের অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিচার বিভাগীয় ‘নির্বাচনী তদন্ত কমিটি’ গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই কমিটি যেকোনো অনিয়মের তদন্ত সাপেক্ষে শাস্তি দিতে ইসির কাছে সুপারিশ করবে।
ইসির আইন শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব শাহীনুর আক্তার এ তথ্য জানান। তিনি জানান, এ সংক্রান্ত একটি চিঠি আইন ও বিচার বিভাগের সচিবের কাছ পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে ৯১ (এ) ধারার ক্ষমতাবলে নির্বাচন কমিশন, আইন ও বিচার বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে একাদশ জাতীয় সংসদের শূন্য ঘোষিত চট্টগ্রাম-১০ আসনের নির্বাচন উপল নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম প্রতিরোধে ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে নির্বাচনী তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো।
নির্বাচনী পূর্ব সময় বলতে তফসিল ঘোষণার পর থেকে ভোটের ফল গেজেট আকারে প্রকাশ করার সময় পর্যন্ত বোঝায়। যুগ্ম জেলা এবং একজন সিনিয়র সহকারী জজ বা সহকারী জজ এর সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৪ জুলাই, মনোনয়নপত্র বাছাই ৬ জুলাই, আপিল দায়ের করা যাবে ৭ থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত, আপিল নিষ্পত্তি হবে ১০ থেকে ১১ জুলাই, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ জুলাই এবং প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৩ জুলাই। সব কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হবে ইভিএমের মাধ্যমে। ভোটকেন্দ্রে স্থাপন করা হবে সিসিটিভি ক্যামেরা।
চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর-খুলশী-কাতালগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ডা. আফছারুল আমীন গত ২ জুন মারা যান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসের ক্যানসারে ভুগছিলেন। এরপর ৪ জুন আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়।
আফছারুল আমীন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
এর আগে তিনি প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। ২০০৮ সালে তিনি প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি পেশায় ছিলেন একজন চিকিৎসক। তার জন্ম হয়েছিল ১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি।