সার্কুলার অনুযায়ী, ১ এপ্রিল থেকে ৩০ জুন সময়ে যেসব মেয়াদি, স্বল্পমেয়াদি কৃষি ও ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তি পরিশোধের কথা রয়েছে; সেগুলোর ৫০ শতাংশ জুনের শেষ কার্যদিবসের মধ্যে পরিশোধ করলে ওই গ্রাহককে আর খেলাপি হিসাবে চিহ্নিত করা হবে না। বুধবারের সার্কুলার অনুযায়ী এর আওতায় তলবি বা চলমান ঋণকেও যুক্ত করা হয়েছে। একই সময়ের মধ্যে তলবি ঋণের যেসব কিস্তি পরিশোধের কথা, সেগুলোর ৫০ শতাংশ পরিশোধ করলেই তাকে আর খেলাপি হিসাবে চিহ্নিত করা হবে না। তবে কিস্তির বকেয়া অর্থ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। এই শর্ত পরিপালনে ব্যর্থ হলে ওই গ্রাহক খেলাপি হিসাবে চিহ্নিত হবেন।
প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হলে তাকে খেলাপি হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। খেলাপি হয়ে পড়লে উদ্যোক্তা আর নতুন ঋণ পাবেন না। এতে ব্যবসাবাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এই সিদ্ধান্তের ফলে যেসব ঋণগ্রাহক খেলাপি হয়ে পড়ার ঝুঁকিতে পড়েছিলেন, তারা অর্ধেক টাকা জমা দিয়েই নিয়মিত গ্রাহক হিসাবে থাকতে পারবেন। তবে এই সুবিধা মিলবে শুধু নিয়মিত ঋণের ক্ষেত্রে। কোনো ঋণখেলাপি এই সুবিধা পাবেন না।
এর আগে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে কোনো ঋণ পরিশোধ না করেও খেলাপিমুক্ত ছিলেন গ্রাহক। গত বছরও সীমিত পরিসরে এ সুযোগ দেওয়া হয়। চলতি বছর থেকে এ সুবিধা তুলে দেওয়া হয়। তবে এপ্রিল থেকে জুন সময়ের জন্য আবারও একই ধরনের সুবিধা দেওয়া হলো প্রায় সব খাতেই। তবে ক্রেডিট কার্ডসহ অন্যান্য ঋণে এ সুবিধা মিলবে না।
এতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে বহির্বিশ্বে যুদ্ধাবস্থা প্রলম্বিত হওয়ার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে শিল্পের কাঁচামালসহ বিভিন্ন উপকরণের মূল্য ও পরিবহণ ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে ঋণগ্রহীতারা তাদের গৃহীত ঋণের বিপরীতে প্রদেয় কিস্তির সম্পূর্র্ণ অংশ পরিশোধে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে শিল্প ও সেবা খাতের উৎপাদনসহ ব্যবসাবাণিজ্য স্বাভাবিক রাখতে ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে।