২৩ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার, ০৭:০৩:৩৩ অপরাহ্ন
নামে-বেনামে তিন গাড়ি ব্যবহার সংস্থাপ্রধানের
  • আপডেট করা হয়েছে : ১০-০৭-২০২৩
নামে-বেনামে তিন গাড়ি ব্যবহার সংস্থাপ্রধানের

উপসচিব থেকে সচিব পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই ৩০ লাখ টাকার সুদমুক্ত ঋণে গাড়ি কেনার সুযোগ পাচ্ছেন। সেই সঙ্গে পাচ্ছেন এসব গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ, তেল খরচ ও চালকের বেতন বাবদ প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা করে।


জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মো. মুনিম হাসানও এই সুবিধা নিয়েছেন আগেই। বিধি অনুযায়ী, এমন সুবিধা পাওয়ার পর কোনো কর্মকর্তার আর সরকারি যানবাহন ব্যবহার করার সুযোগ নেই। কিন্তু জাগৃকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর মুনিম হাসান নিজ দপ্তর থেকে আরও দুটি দামি গাড়ি নিয়েছেন সার্বক্ষণিক ব্যবহারের জন্য। একটি গাড়ি ব্যবহার করা হচ্ছে পারিবারিক কাজে। এসব গাড়ির জ্বালানিসহ অন্যান্য খরচও সরকারি কোষাগার থেকে ব্যয় করা হচ্ছে। সংস্থাপ্রধানের এমন গাড়িবিলাসের পর বসে নেই অন্য কর্মকর্তারাও। তাঁদেরও কেউ কেউ বিধিবহির্ভূতভাবে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করছেন। এতে সরকারের বিপুল অর্থের অপচয় হচ্ছে।


খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মো. মুনিম হাসান গত ১৬ জানুয়ারি জাগৃকের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দেওয়ার পর থেকে প্রতিষ্ঠানের একটি পাজেরো স্পোর্টস জিপ (ঢাকা মেট্রো গ-১৮-৭৫৭৬) সার্বক্ষণিকভাবে ব্যবহার করছেন। এই গাড়ির চালক হলেন জাগৃকের কর্মচারী শফিকুল ইসলাম। চেয়ারম্যানের পরিবারের কাজে সার্বক্ষণিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে জাগৃকের আরেকটি প্রিমিও কার (ঢাকা মেট্রো-গ-৩৯-৪০৪৩)। এই গাড়ির চালকও জাগৃকের আরেক কর্মচারী ফজলুল হক। চেয়ারম্যানের পরিবারের কাজে ব্যবহৃত গাড়ির জ্বালানি খরচ বাবদ সরকারের কোষাগার থেকে যাচ্ছে বছরে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা। নথিপত্রে গাড়িটির বরাদ্দ দেখানো হয়েছে চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব মেহেদী হাসানের নামে। যদিও মেহেদী হাসানকে বছর দুয়েক আগেই সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।


এ বিষয়ে মেহেদী হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি গাড়ি চোখেও দেখিনি। ২৬-২৭ মাস ধরে বরখাস্ত আছি। এর বেশি কিছু বলব না।’


এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে গত সোমবার জাগৃক চেয়ারম্যান মো. মুনিম হাসানের দপ্তরে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।এরপর তাঁর ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নম্বরে বার্তা পাঠিয়ে কথার বলার আগ্রহ প্রকাশ করে এবং একাধিকবার ফোন করেও সাড়া মেলেনি।


জানা যায়, সুদমুক্ত ঋণে গাড়ির সুবিধা পাওয়া জাগৃকের একাধিক সদস্যও বিধিবহির্ভূতভাবে প্রতিষ্ঠানের দুটি পাজেরো জিপ ব্যবহার করছেন। জ্বালানির জন্যও সরকারি কোষাগার থেকে তাঁরা নিয়মিত অর্থ নিচ্ছেন। গাড়ি দুটির চালকও জাগৃকের। এ ছাড়া প্রাধিকারভুক্ত না হয়েও সংস্থার কয়েকজন কর্মকর্তা সরকারি গাড়ি ব্যবহার করছেন।


শেয়ার করুন