২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৭:০৬:১২ অপরাহ্ন
ঝালকাঠিতে বাস পুকুরে পড়ে ১৭ জনের প্রাণহানি: ক্ষতিগ্রস্তরা মামলায় ‘আগ্রহী নয়’
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৩-০৭-২০২৩
ঝালকাঠিতে বাস পুকুরে পড়ে ১৭ জনের প্রাণহানি: ক্ষতিগ্রস্তরা মামলায় ‘আগ্রহী নয়’

ঝালকাঠির ছত্রকান্দা এলাকায় বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে ১৭ যাত্রী নিহতের ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্তদের কেউ মামলা করতে আগ্রহী নন। তবে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু করেছে জেলা প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি। এদিকে আহত যাত্রীদের অধিকাংশই বাড়ি ফিরে গেছেন।  


ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দীন সরকার বলেন, বাস দুর্ঘটনার ঘটনায় স্বজনদের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ বা মামলা করা হয়নি। কেউ মামলা দিলে তা রেকর্ড করা হবে। এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। 


ঝালকাঠিতে বাস দুর্ঘটনা: ৩০ ফুট গভীর পুকুরের কারণে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে ঝালকাঠিতে বাস দুর্ঘটনা: ৩০ ফুট গভীর পুকুরের কারণে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে 

ঝালকাঠির পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল বলেন, ‘জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বাস দুর্ঘটনায় নিহতদের স্বজনদের সঙ্গে ও চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকা আহতদের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলা হয়েছে। তাঁরা কেউই মামলা করতে আগ্রহী না থাকায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা রুজু হয়নি। আমরা আরও কিছু সময় অপেক্ষা করব। এর মধ্যে কেউ মামলা করতে আগ্রহী না হলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করবে।’


ঝালকাঠিতে সড়ক দুর্ঘটনা: নিহত ৮ জনের বাড়ি ভান্ডারিয়ায়, বাড়িতে কান্নাঝালকাঠিতে সড়ক দুর্ঘটনা: নিহত ৮ জনের বাড়ি ভান্ডারিয়ায়, বাড়িতে কান্না

এদিকে এ ঘটনায় ঝালকাঠি জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মামুন শিবলী বলেন, কমিটি তদন্ত শুরু করেছে। এখনো ঘটনাস্থলে না গেলেও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত বাসযাত্রীদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। গাড়ির ফিটনেসসহ কাগজ সঠিক ছিল কিনা বা কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা তদন্ত সম্পন্ন না হলে বলা যাচ্ছে না। 

এ ছাড়া বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া আহত ৩৫ জনের মধ্যে ৩৩ জন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল ও বরিশালের শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তাঁরা চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন বলে জানিয়েছেন ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডা. এইচএম জহিরুল ইসলাম। তিনি জানান, আহত বাকি দুজন মো. জলিল ও তাঁর স্ত্রী মিনারা বেগম এখনো ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে তাঁদের অবস্থা শঙ্কামুক্ত বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।


শেয়ার করুন