রাজশাহীর পবা উপজেলার জিন্নাত আলীকে হত্যার অভিযোগে আদালতে দায়ের করা মামলার সঠিক তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে সংশয় রয়েছেন নিহতের পরিবার।
আদালতে মামলা ও সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানান গেছে, পবা উপজেলার বড়গাছী ইউনিয়নের দাদপুরপূর্বপাড়া গ্রামের জামে মসজিদের হিসাব চাওয়াকে কেন্দ্র করে গত ১৮ জুন মাগরিবের নামাজের পর মসজিদের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলামসহ তার লোকজনের মারপিটে ওই মসজিদের সভাপতি জিন্নাত আলী (৬৫) অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
ঘটনার দিন রাতে নিহতের ছেলে জিয়াউর রহমান পবা থানায় মামলা দায়ের করতে যান। কিন্তু পবা থানা পুলিশ ময়না তদন্তের রিপোর্ট না পর্যন্ত মামলা হবে না বলে ফিরিয়ে দেন। পরর্বতীতে গত ৬ জুলাই নিহতের ছেলে জিয়াউর রহমান বাদি হয়ে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক ও দাদপুর পূর্বপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম (৩৬), ঘটনার সাথে জড়িত একই গ্রামের সাদেক আলী (৫৫) ও বদিউজ্জামালকে(৪০) আসামি করে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে ১০৯/৩০২/৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য পবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিকে) নির্দেশ প্রদান করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পবা থানার এস আই শাহাবুল ইসলাম। মামলার বাদি জিয়াউর রহমান বলেন, আদালতে মামলা দায়ের পর থেকে আসামিদের লোকজন প্রতিনিয়ত মামলাটি তুলে নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে। এতে করে পুলিশের সঠিক তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে সংশয় রয়েছে নিহতের পরিবার।
আরএমপি পবা থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাহাবুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আদালত থেকে একটি মামলার সঠিক প্রতিবেদন চেয়ে মামলাটি থানায় পাঠিয়েন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত করে যথা সময়ে সঠিক প্রতিবেদন আদালতে প্রেরণ করা হবে।