২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ০৭:৫৪:২০ অপরাহ্ন
কক্সবাজারে ৮ উপজেলায় ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দী
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-০৮-২০২৩
কক্সবাজারে ৮ উপজেলায় ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দী

টানা ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের প্রভাবে কক্সবাজার জেলার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। জেলার ৮ উপজেলার ৬৩টি ইউনিয়নের অন্তত ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। 


পাহাড়ি ঢলে জেলার প্রধান নদী মাতামুহুরী, বাঁকখালী ও ঈদগাঁও নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এতে নদীগুলোর তীরবর্তী এলাকার ৬৮ হাজার ঘরবাড়ি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। 


কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ নিয়ন্ত্রণ কক্ষের হিসাবে, জেলার ৮ উপজেলার ৬৩টি ইউনিয়নের ২ লাখ ৯১ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। এ পর্যন্ত ২৮৮ আশ্রয়কেন্দ্রে ৩৩ হাজার ৭৩৭ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া জেলার ৪৬ কিলোমিটার সড়ক বন্যায় ডুবে গেছে বলে সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানিয়েছে।


পানি উন্নয়ন বোর্ড কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী তানভীর সাইফ আহমেদ জানান, পূর্ণিমার জোয়ারে চকরিয়ার কয়েকটি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। মাতামুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে (৮০ সেন্টিমিটার) প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নদীর দুই তীরের ১০-১৫টি গ্রামের শত শত ঘরবাড়ি নিমজ্জিত হয়েছে। রামুর বাঁকখালী নদীর পানিও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ওই এলাকার কয়েকটি গ্রাম পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।


জনপ্রতিনিধিদের ভাষ্য মতে, সবচেয়ে বেশি বন্যাকবলিত হয়েছেন চকরিয়া উপজেলার ১৮ ইউনিয়নের অন্তত দেড় লাখ মানুষ। পাশের উপজেলা পেকুয়াতে ৭ ইউনিয়নের অন্তত ৭৩ হাজার মানুষ পানিবন্দী জীবন কাটাচ্ছেন। 


জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান জানান, ভারী বর্ষণ ও পূর্ণিমার উচ্চ জোয়ারের প্রভাবে চকরিয়া, পেকুয়া, ঈদগাঁও, কক্সবাজার সদর, রামু, টেকনাফ, উখিয়াসহ বিভিন্ন উপজেলার লাখো মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। দুর্গত ব্যক্তিদের মধ্যে দ্রুত শুকনা খাবার পৌঁছানো হচ্ছে। গৃহহীন মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্রে সরানো হচ্ছে।


শেয়ার করুন