সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে রাজশাহী জেলার পুঠিয়ায় স্থানীয় প্রশাসনের নাকের ডগায় ফসলি কৃষি জমি নষ্ট করে চলছে শিলমাড়িয়া ইউনিয়নে পুকুর খনন । এসব অবৈধ পুকুর খননকারী বাগমারার মোঃ লতিফ নামের এক ব্যক্তি। শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের কাঁচুপাড়া বিলে ৪০ বিঘা, তেতুলিয়া বিলে ২০ বিঘা, আবাদি কৃষি জমি ধ্বংস করে অবাধে পুকুর খনন কাজ অব্যাহত রেখেছে অবৈধ পুকুর খননকারী বাগমারার লতিফ। এসব অবৈধ পুকুর খনন বিষয়ে প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করছে বলে অভিযোগ করেন এলাকার কৃষক। এভাবে ফসলি জমি নষ্ট করে পুকুর খননের কারণে মারাত্মক সংকটে পুঠিয়ার ফসলি কৃষি জমি। কৃষক মোঃ সাত্তার জানান, এভাবেই গত ৫/৬ বছর থেকে হচ্ছে পুঠিয়া উপজেলায় গণহারে পুকুর খনন, তাই আজ আমাদের পুঠিয়ার ফসলি কৃষি জমির অস্তিত্ব সংকটে। এখন এসময় আমাদের জমিতে বিভিন্ন রকম সবজি চাষ করতাম এবং আমাদের এলাকার সবজি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যেত কিন্তু অপরিকল্পিত ভাবে আমাদের ফসলি কৃষি জমিতে পুকুর খননের কারণে পানি নিষ্কাশনের জন্য রাখা হয়নি কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা। সে কারণে একটু বৃষ্টি হলেই আমাদের ভিটা জমিতে উঠে যায় পানি এসব কারণেই আমরা আমাদের ভিটা জমিতেও সবজি চাষ করতে সাহস পায় না। হাজার হাজার টাকা খরচ করে সবজি চাষ করি পানি উঠে নষ্ট হয়ে যায় আমাদের সবজি। এবার এসব পুকুর খনন প্রতিরোধ না করতে পারলে বর্ষা মৌসুমে বিলের পানি উঠে আসবে আমাদের বাড়িতে তাই এসব ফসলি জমিতে পুকুর খনন বন্ধের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ কামনা করছিলাম এসব পুকুর খনন বন্ধ না হলে আমরা ভবিষ্যতে হারাবো আমাদের শেষ সম্বল বসত বাড়ি। এসব অবৈধ পুকুর খননের বিষয়ে পুঠিয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ বসাক বলেন, আপনি পুকুর খননের বিষয়ে একটু ওসি সাহেব কে জানান। পুকুর খনন বিষয়ে রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মোঃ ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, ফসলি জমিতে পুকুর খনন বন্ধের জন্য উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে, বিষয়টি নিয়ে আমি উপজেলা প্রশাসনের সাথে কথা বলবো