২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ১১:৩৬:২১ অপরাহ্ন
শেখ হাসিনা নির্বাচনে হেরে গেলে অস্থিতিশীলতায় পড়তে পারে বাংলাদেশ
  • আপডেট করা হয়েছে : ২১-০৮-২০২৩
শেখ হাসিনা নির্বাচনে হেরে গেলে অস্থিতিশীলতায় পড়তে পারে বাংলাদেশ

রোববার (২০ আগস্ট) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘দ্য হিন্দু’র সাময়িকী ফ্রন্টলাইন-এ বাংলাদেশকে নিয়ে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বাংলাদেশের রাজনীতি ও জাতীয় নির্বাচন নিয়ে তুলে ধরা হয়েছে। ‘ইফ শেখ হাসিনা লোসেস জানুয়ারি ইলেকশন, বাংলাদেশ কুড ফেস প্রলঙ্গড পলিটিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক ইনস্ট্যাবিলিটি’- এই শিরোনামে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি লিখেছেন প্রণয় শর্মা। তিনি রাজনৈতিক ও পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ের বিশ্লেষক। ভারতের বিভিন্ন মিডিয়া প্রতিষ্ঠানে তিনি সিনিয়র সম্পাদকীয় পদে কাজ করেছেন। পাঠকের সুবিধার্তে প্রতিবেদনটির অনুবাদ করে তুলে ধরা হলো: 


 


যুক্তরাষ্ট্রের চাপিয়ে দেওয়া রাজনৈতিক সংকট থেকে বাংলাদেশকে মুক্তি দেওয়ার জন্য ভারতের ওপর চাপ বাড়ছে। যে সংকট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ সংকুচিত করছে এবং  রাজনৈতিক বিরোধীদের,বিশেষ করে ইসলামপন্থি মৌলবাদী দলগুলোকে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে তাকে কোনঠাসা করতে উৎসাহিত  করছে।



শেখ হাসিনা সরকার সম্ভবত ভারতের সবচেয়ে কাছের এবং একমাত্র নির্ভরযোগ্য অংশীদার। যে অঞ্চলে ভারতবিরোধী অনুভূতি এবং আনুগত্য নিয়মিত পাল্টাচ্ছে। বদলানোতে পরিপূর্ণ। যদিও ভারত ঐতিহাসিকভাবে দক্ষিণ এশিয়ায় ‘বড় শক্তি’ হিসেবে স্বীকৃত, কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন সেই অবস্থানকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের স্বার্থ ও অবস্থান প্রতিদিন বাড়ছে।


এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন বাংলাদেশের ‘গণতন্ত্রের অবনতি’ ঠেকাতে এবং সংসদীয় নির্বাচন যেন অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়— তা নিশ্চিত করতে একাধিক শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে। নির্বাচনে  জালিয়াতিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি মার্কিন  পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আধা-সামরিক বাহিনী র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)-এর বর্তমান ও সাবেক কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। গত নির্বাচনে  জয়ী  হতে র‍্যাব শেখ হাসিনার  দল  আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা করেছে। ২০০৯ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নির্বাচনে কারচুপি ও রাজনৈতিক বিরোধীদের দমনের অভিযোগ রয়েছে।  অভিযোগ, এসব পদক্ষেপ তার অপ্রতিদ্বন্দ্বী কর্তৃত্বের পথ ও টানা নির্বাচনে জয়ের পথ সুগম করে তাকে দেশের সবচেয়ে বেশি দিন ক্ষমতায় থাকা নেতা বানিয়েছে।


তিনি (শেখ হাসিনা) দাবি করে আসছেন, বাংলাদেশের নির্বাচন সব সময় অবাধ ও নিরপেক্ষ। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলো তার দলের সমর্থক, সরকারি কর্মকর্তা ও সরকারি সংস্থাগুলোর লাগাম টানতে এবং সব রাজনৈতিক দলকে নির্ভয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেছে। সম্প্রতি ঢাকায় একটি উপনির্বাচনের সময় স্পষ্ট হয়ে ওঠে— যখন আওয়ামী লীগ সমর্থকদের দ্বারা একজন বিরোধী প্রার্থীর ওপর হামলার ফলে ইইউ সরকারের সমালোচনা করে একটি কঠোর ভাষায় বিবৃতি জারি করে।



বিগত বছরগুলোতে গণতন্ত্রের শীর্ষ সম্মেলন থেকে বাংলাদেশকে বাদ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যদিও তিনি অন্যান্য দেশের সঙ্গে পাকিস্তান ও ভারতকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। মে মাসে বিশ্বব্যাংকের বৈঠকে ওয়াশিংটনে যাওয়া শেখ হাসিনাকে উপেক্ষা করে তার প্রশাসন।


শেখ হাসিনা মনে করেন, বাইডেন বাংলাদেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করতে চাইছেন। একবার সংসদে তিনি বলেছিলেন, ‘আমেরিকা বিশ্বের যেকোনও সরকারকে ছুঁড়ে ফেলতে পারে, বিশেষ করে যদি এটি একটি মুসলিম জাতি হয়।’


শেয়ার করুন