আদালত বলেছেন, এই অর্থ কেলেঙ্কারির সঙ্গে কারা জড়িত সুনির্দিষ্টভাবে তাদের নাম দিন। কারা এই বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতে জড়িত তাদের তালিকা দেখতে চাই। গতকাল বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত মামলার শুনানিকালে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই মন্তব্য করেন।
হাইকোর্ট বলেন, এত টাকা কি হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে। দুর্নীতিবাজদের সহ্য করা হবে না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান কঠোর। জড়িতদের কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে কোর্ট থেকে সরাসরি জেলে পাঠানো হবে।
এর আগে বিসিআইসির পক্ষ থেকে ব্যাখ্যা দাখিলে সময় চাওয়া হয়। আদালত ৯ জুলাই এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য বিসিআইসি কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়। আদালতে বিসিআইসির পক্ষে আইনজীবী মোল্লা কিসমত হাবিব ও দুদকের পক্ষে খুরশিদ আলম খান শুনানি করেন।
৫৮২ কোটি টাকার সার আত্মসাতের বিষয়ে বিসিআইসিকে ব্যাখ্যা দিতে গত ৫ জুন নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ঐ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষিত হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়। পাশাপাশি দুদককে এ বিষয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয় আদালত।