ধারণা করা হচ্ছিল সিডনি টেস্ট খেলে দীর্ঘ টেস্ট ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন রোহিত শর্মা। তবে সেটি হয়নি। রানখরায় ভুগতে থাকা রোহিত ওই টেস্ট থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেও অবসরের সিদ্ধান্ত জানাননি। যা নিয়ে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, মেলবোর্নে চতুর্থ টেস্টের পরই অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রোহিত। তবে পরবর্তীতে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন এই তারকা ওপেনার। যা কিনা ভালো লাগেনি দলটির কোচ গৌতম গম্ভীরের।
টেস্টে লম্বা সময় ধরেই রান পাচ্ছেন না রোহিত। এরপর বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির প্রথম টেস্টে তাকে ছাড়াই জেতে দল। তার জায়গায় ওপেনিংয়ে ভালো করেন কেএল রাহুল ও যশস্বী জয়সওয়াল। রোহিতের জায়গায় খেলেন শুভমান গিল। যে কারণে দ্বিতীয় টেস্টে রোহিত দলে ফিরলে বাদ পড়ে গিল। তবে ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে পারেননি রোহিত।
চতুর্থ টেস্টে হারের পর বেশ চাপে পড়ে ভারত। শেষ টেস্টে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে উঠতে জিততেই হতো দলটিকে। যে কারণে ওই টেস্টের আগেই অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রোহিত। তবে শেষ পর্যন্ত সেটি হয়নি। সিদ্ধান্ত পাল্টান রোহিত। যা নিয়েই তার প্রতি ক্ষোভ ছিল গম্ভীরের। জানা গেছে, শেষ টেস্টের আগে স্কোয়াড, টস ও অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়েও গম্ভীরের সঙ্গে মতবিরোধ হয়েছে রোহিতের।
টাইমস অফ ইন্ডিয়া টিম ম্যানেজমেন্টের এক সূত্রের বরাত দিয়ে বলেছে, ‘রোহিত এমসিজি টেস্টের পরে অবসরের বিষয়ে মন স্থির করেছিলেন। পরে বাইরে থেকে তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাকে তার মন পরিবর্তন করতে বাধ্য করে। তা না হলে, আমরা অস্ট্রেলিয়ায় আরেকটি অবসর দেখতে পারতাম।’
তবে রোহিতের মানসিক পরিবর্তন প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর ভালো ভাবে নেননি। তবে এখন ধারণা করা হচ্ছে, সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতো আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফি দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে পারেন দলের সিনিয়র ক্রিকেটার রোহিত, বিরাট কোহলি, এবং রবীন্দ্র জাদেজারা।