টানা তিন ম্যাচে জয় নেই—ভারতের ঐতিহ্যবাহী ও অন্যতম শক্তিশালী দল মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের বিপক্ষে আবাহনীর শেষ তিন ম্যাচের পরিসংখ্যান। ২০১৯ সালে এএফসি কাপের জোনাল সেমিফাইনালে খেলা আকাশি-নীলরা যে গ্রুপে পর্বে উঠতে ভুলে গেছে, তার পেছনে অন্যতম কারণ এই মোহনবাগান। আজ এএফসি কাপের মূল পর্বে ওঠার লড়াইয়ে আবাহনী মোহনবাগান গেরোটা কি খুলতে পারবে?
সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে ক্লাব ইগলসের বিপক্ষে এএফসি কাপের প্রাক্-বাছাইয়ে জিততে বেশ বেগই পেতে হয়েছে আবাহনীকে। নিজেদের চেনা মাঠ, বৃষ্টিতে সেটি ভারী হয়েছিল বলে ইগলস নিজেদের সেরাটা খেলতে পারেনি। আবাহনী ম্যাচটা জিতেছিল ২-১ গোলে। কিন্তু মোহনবাগান খেলবে নিজেদের শহরে চেনা দর্শকের সমর্থন নিয়ে। আজ বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে সল্টলেক স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে দুই বাংলার ঐতিহ্যবাহী দল। এই সল্টলেকেই গত বছর বাংলাদেশের আবাহনীকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল পশ্চিম বাংলার মোহনবাগান।
সর্বশেষ কয়েক ম্যাচে মোহনবাগানের পারফরম্যান্স খুব যে ভালো, তা নয়। প্রাক্-বাছাইয়ে নেপালের মাচিন্দ্রা এএফসিকে ৩-১ গোলে সহজেই হারিয়েছে মেরিনার্সরা। কিন্তু গত পরশু কলকাতা লিগে আবার সাউদার্ন সমিতির কাছে ২-০ গোলে হেরেছে হুয়ান ফার্নান্দোর দল। কদিন আগে ডুরান্ড কাপে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্ট বেঙ্গলের কাছে ৯ বছর কলকাতা ডার্বিতেও হেরেছে মোহনবাগান। সব মিলিয়ে নড়বড়ে মোহনবাগানকে হারানোর এটাই সেরা সুযোগ আবাহনীর, অনেকের এমনটাই ধারণা। কিন্তু আবাহনীর কি সেই প্রস্তুতি আছে?
অনেকটা তাড়াহুড়া করেই গতকাল দুই ভাগে ভাগ হয়ে কলকাতা গেছে আবাহনী। ভারতের ভিসা পেতে বাংলাদেশের দলটার হাতে খুব বেশি সময় ছিল না। ভ্রমণের পর কোনো বিশ্রাম ছাড়াই এক দিন অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছে মারিও লেমোসের দল। এই এক দিনের অনুশীলনেই মোহনবাগানের বিপক্ষে জয়ের আশা পর্তুগিজ কোচ মারিও লেমোসের, ‘মোহনবাগান খুব আক্রমণাত্মক এক দল, বক্সের ভেতর অনেক সুযোগ তৈরি করে। জিততে হলে ওদের বক্সে কোনো সুযোগ দেওয়া চলবে না। সুযোগ পেলেই তারা ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দেবে। আর বড় দলের সঙ্গে অনেক সময় আপনি চাইলেও অনেক সময় কাঙ্ক্ষিত ফল পাবেন না। মোহনবাগানের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা যথেষ্ট। জেতার জন্য সর্বোচ্চ সব চেষ্টাই আমরা করব।’