প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। প্রস্তাবিত বাজেটে স্বাস্থ্য খাতের জন্য বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় সংসদে তিনি বাজেট উত্থাপন শুরু করেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে স্বাধীন বাংলাদেশের ৫১তম বাজেটের মূল স্লোগান কোভিডের অভিঘাত কাটিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন। যেখানে মূল লক্ষ্য সক্ষমতার উন্নয়ন।
বৈশ্বিক ঝুঁকি কাটিয়ে অর্থনীতির স্থিতিশীলতার সঙ্গে জনজীবনে স্বস্তি ফেরানোই এবারের বাজেটের মূল লক্ষ্য।
করোনায় স্বাস্থ্য খাতের অনেক দুর্বলতা স্পষ্ট হয়ে ওঠেছে। বাংলাদেশের বর্তমান স্বাস্থ্য পরিস্থিতি ও চিকিৎসা ব্যয়ের বিবেচনায় স্বাস্থ্য খাতের জন্য জাতীয় বাজেটের ১৫ শতাংশ বরাদ্দ রাখা উচিত বলে মনে করেন জনস্বাস্থ্যবিদেরা।
গত অর্থবছরে (২০২১-২২) স্বাস্থ্য খাতের জন্য ৩২ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। এবার ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দ হয়েছে ৩৬ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকা। সে হিসাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ বেড়েছে ৪ হাজার ১৩২ কোটি টাকা।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ বাড়িয়েও লাভ নেই বলে মনে করেন অনেকেই। কারণ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি বড় দুর্বলতা হচ্ছে, বরাদ্দ হওয়া অর্থ খরচ করতে পারে না তারা। বছর শেষে এই মন্ত্রণালয় টাকা ফেরত দেয়।
আগের কয়েকটি অর্থবছরে স্বাস্থ্য খাতের জন্য মোট বাজেটের ৬ শতাংশের নিচে বরাদ্দ দিলেও করোনা মহামারিকালে ২০২০-২০২১ ও ২০২১-২২ অর্থবছরে সেই বরাদ্দ উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ানো হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ ছিল মোট জাতীয় বাজেটের ৫ দশমিক ৮ শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থবছরে এই হার ছিল ৫ দশমিক ৪ শতাংশ।