বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার মল্লিকেরবেড় ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির কমিটিতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নাম থাকায় বিএনপির নেতাকর্মীর মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিএনপি নেতাকর্মীরা সোমবার দুপুরে বাগেরহাট প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে মল্লিকেরবেড় ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আলিম হাওলাদার ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির খানসহ শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
মল্লিকেরবেড় ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সংগ্রহ সার্চ কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির বলেন, গত ১৭ বছর আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের অত্যাচার নির্যাতনে আমরা বিএনপির নেতাকর্মী বাড়িঘরে থাকতে পারিনি। ২০১৪ সালের ১৬ মার্চ স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের সন্ত্রাসীরা বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
তিনি বলেন, গত ৫ আগস্ট আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান খুনি হাসিনা পালিয়ে গেলে আমরা বিএনপি নেতাকর্মীরা তারেক রহমানের নির্দেশ নতুন করে বিএনপির কমিটি গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করি। একপর্যায়ে কমিটি গঠনে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ১নং ওয়ার্ডে সভাপতি প্রার্থী শহিদ শেখ, যিনি আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড কমিটির সদস্য ছিলেন। এছাড়া মল্লিকেরবেড় ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী হওয়া সত্ত্বেও বিএনপির কমিটিতে সদস্য হয়ে ভোটার হয়েছেন এবং ভোট দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপির ভোটার হয়েছেন বিষয়টি জানাজানি হলে বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দেয়। এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে ভোটার সংগ্রহ করা হয়; কিন্তু দুঃখের বিষয় দ্বিতীয়বারও ভোটার সংগ্রহে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সদস্য করা হয় এবং গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভোট অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, এ ঘটনার পর মল্লিকেরবেড় ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিলে আমরা প্রতিবাদ জানাই। কিন্তু এরপরও জেলা বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা বিষয়টি আমলে নেয়নি। এমন অবস্থায় আমরা নিরুপায় হয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বিএনপির শীর্ষ নেতাদের হস্তক্ষেপসহ বিষয়টির তদন্ত ও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।