রাজশাহীতে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে আপন ছোট ভাইকে পিস্তল, বোমা ও মাদক দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে। এছাড়া কয়েক দফা হামলায় সস্ত্রীক গুরুতর আহত হয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তোলেন ভুক্তভোগীর ছোট ভাই।
ভুক্তভোগীর নাম আব্দুস সবুর আলী (৫৫)। তিনি নগরীর সাধুর মোড় এলাকার বাসিন্দা। সংবাদ সম্মেলনে আব্দুস সবুর বলেন, আমি বাবার জমিজমা ভাগবাটোয়ারার কথা বলতে গেলে আমাকে মারধর করেন বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক, তার মেয়ে ও মেয়ে জামাই মাহফুজুর রহমান। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন ছাড়াও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চক্রান্ত করে আমার বিরুদ্ধে। তারা আমাকে বসতভিটা ছেড়ে চলে যেতে বলে।
আব্দুস সবুর অভিযোগ করেন, তিনি বাসা না ছাড়ায় ষড়যন্ত্র করে বাসাটিতে বোমা, পিস্তল, গাঁজা, হেরোইন রেখে অভিযান পরিচালনা করানো হয়। এছাড়া তার বিভিন্ন সময়ে তার টিনের বাসায় পাশের চার তলা বিল্ডিংয়ের ছাদ থেকে ইটপাটকেল ও ময়লা আবর্জনা ফেলেন তার ভাইয়ের পরিবারের লোকজন।
আব্দুস সবুরের ভাষ্য, এসবের পর সপরিবারে হত্যার উদ্দেশ্যে তার ওপর হামলা চালানো হয়। হামলায় গুরুতর আহত হয়ে পরিবারের চার সদস্যই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। দু‘মাস পর সুস্থ হন। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলেও জড়িতদের গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। উল্টো তাকেই থানায় ডেকে বোয়ালিয়া থানার তৎকালীন ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মণ ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
চাঁদা দিতে সক্ষম না হওয়ায় গ্রেপ্তার করা হয় আব্দুস সবুরকে। পরে তার বাসায় হামলা চালিয়ে ৫ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।
এসব ঘটনায় রাসিক মেয়র, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ তোলেন আব্দুস সবুর। নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাতের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।