বুধবার (২৩ আগস্ট) ভারতের স্থানীয় সময় ৬টা ৪ মিনিটে ‘চন্দ্রযান ৩ -এর ল্যান্ডার বিক্রম’ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে অবতরণ করে। এ ঘটনায় ভারতজুড়ে বয়ে যাচ্ছে আনন্দের বন্যা। অভিনব এমন সাফল্যে ইসরোকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে বিদেশিরাও।
যেখানে আনন্দে ভেসে যাচ্ছে দেশ, সেখানে এই ঘটনায় কটাক্ষের শিকার হতে হলো প্রভাস অভিনীত ‘আদিপুরুষ’ সিনেমাকে।কারণ, ‘আদিপুরুষ’ যে বাজেটে তৈরি হয়েছে, তার থেকে প্রায় একশ কোটি কম খরচে তৈরি হওয়া চন্দ্রযান আজ চাঁদের বুকে ভারতের হয়ে ইতিহাস গড়ে ফেলেছে।
কিন্তু বক্স অফিসে ডাহা ফেল করেছে ‘আদিপুরুষ’। লভ্যাংশও ঘরে তুলতে পারেনি। এমনকী, ৭০০ কোটি বাজেটের এই ছবির অর্ধেক অর্থ কামাই করতে গিয়েও নাকানিচুবানি খেতে হয়েছে নির্মাতাদের।
উপরন্তু গোদের ওপর বিষফোড়ার মতো একের পর এক আইনি জটিলতায় জেরবার হতে হয়েছে। রাম-রাবণ, হনুমানের মুখে বাজার চলতি ‘আপত্তিকর’ সংলাপ রেখে কম কটাক্ষের শিকার হননি পরিচালক ওম রাউত এবং চিত্রনাট্যকার মনোজ মুনতাসির।
এবার চন্দ্রযান ৩-র সাফল্যের পর ফের খবরের শিরোনামে এল প্রভাস-কৃতিরর বিতর্কিত এই ছবি। তবে নেতিবাচক দৃষ্টিকোণে।
‘চন্দ্রযান ৩’ তৈরিতে খরচ হয়েছে ৬১০ কোটি রুপি। যে মহাকাশযান ভারতের মুঠোয় চাঁদের খুঁটিনাটি তথ্য এনে দেবে। মার্কিন, রাশিয়াকে হারিয়ে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে আলোকপাত করতে সক্ষম হয়েছে বিক্রম-এর প্রজ্ঞান।
‘ব্রহ্মাণ্ড দৌড়ে’ ভারতের এই সাফল্য যে গোটা বিশ্বের কাছে নজির গড়ল, তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু এর থেকেও বেশি বাজেটে তৈরি করা সিনেমা বক্স অফিসে লাভের মুখ দেখতে পায়নি। আর সেই প্রেক্ষিতেই অনবরত কটাক্ষের শিকার হতে হচ্ছে বিগ বাজেট ‘আদিপুরুষ’কে।
প্রথম দিকে শোনা গিয়েছিল, ৫০০ কোটি রুপিতে তৈরি হয়েছে প্রভাস-কৃতির ছবি। কিন্তু পরবর্তীতে জানা যায়, অত্যাধুনিক ভিএফএক্স ব্যবহার করতে গিয়ে বাজেট বেড়ে ৭০০ কোটিতে দাঁড়ায়। কিন্তু তাতেও লাভের লাভ কিছুই হয়নি। বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছে ‘আদিপুরুষ’।