কৃষ্ণসাগরের ক্রিমিয়া উপদ্বীপে একের পর এক ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। এমন ৪২টি ড্রোন প্রতিহত করেছে রাশিয়া।
শুক্রবার ভোরে ক্রিমিয়ান উপদ্বীপে রুশ বিমান প্রতিরক্ষাপ্রধান টেলিগ্রামে ড্রোন হামলা প্রতিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। খবর সিএনএনের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এসব ড্রোন হামলা চালাতে এসেছিল এবং বেশিরভাগ ড্রোনকে ইলেকট্রনিক ওয়্যারফেয়ার দিয়ে আটকে দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, রাতের আঁধারে ৪২টি ড্রোন দিয়ে রাশিয়া-অধিভুক্ত ক্রিমিয়া উপদ্বীপে আক্রমণের জন্য ইউক্রেনের প্রচেষ্টা রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ব্যর্থ করে দিয়েছে বলে জানিয়েছে মস্কো।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় টেলিগ্রামে লিখেছে, ‘ক্রিমিয়া প্রজাতন্ত্রের ভূখণ্ডে ৯টি ইউএভি (মানুষবিহীন এরিয়াল ভেহিকল) গুলি করে ধ্বংস করা হয়েছে। এ ছাড়া ইলেকট্রনিক ওয়্যারফেয়ার দিয়ে আরও ৩৩টি ইউএভি দমন করা হয়েছে এবং সেগুলো লক্ষ্যে পৌঁছেতে না পেরে বিধ্বস্ত হয়েছে।’
তবে ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কিনা তা জানায়নি রাশিয়া।
এর আগে ইউক্রেনের বিশেষ বাহিনী রাশিয়ান ইউনিটগুলোতে আক্রমণ করার জন্য উপদ্বীপের পশ্চিমতীরে অবতরণ করে৷
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা ক্রিমিয়া পুনরুদ্ধারের জন্য বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যা ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে রাশিয়া দখল করে নেয়। সাম্প্রতিক সপ্তাহাতে, ইউক্রেন এই অঞ্চলে ড্রোন হামলা বাড়িয়েছে, যার মধ্যে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে উপদ্বীপের সংযোগকারী সেতুও রয়েছে।
বৃহস্পতিবার ইউক্রেন বলেছে, তার বাহিনী ‘বিশেষ অভিযান’ চলাকালীন রাশিয়া-অধিভুক্ত ক্রিমিয়ায় ইউক্রেনীয় পতাকা উড়িয়েছে।
ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার এস-৪০০ অ্যান্টি এয়ারক্রাফট সিস্টেম আছে। বুধবার ইউক্রেন দাবি করে, তারা সেই সিস্টেম ধ্বংস করে দিয়েছে। ওই দিন ইউক্রেনীয় সময় সকাল ১০টার দিকে ক্রিমিয়ায় একটি বড়সড় বিস্ফোরণ হয়।