আগামী বছর রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনার জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে চাপ দিতে পারেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এমনটাই আশঙ্কা করছেন ইউরোপের দেশগুলোর কর্মকর্তারা। এক বেনামি সূত্রের বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ। এর আগে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক প্রতিবেদনে বলেছিল, ২০২৪ সালে ইউক্রেনে মার্কিন সহায়তা অনেকটাই কমে যাবে।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেন রণক্ষেত্রে খুব একটা অগ্রগতি অর্জন করতে না পারায় ইউরোপীয় দেশগুলোর নেতারা যুদ্ধের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত। এ ছাড়া তাঁরা আরও একটি বিষয় নিয়ে শঙ্কিত। সেটি হলো, যুক্তরাষ্ট্রে বিরোধী দল ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টি ও বাইডেন প্রশাসনকে ইউক্রেনে হস্তক্ষেপ থেকে পিছু হটতে বাধ্য করতে পারে। ফলে এসব কারণে বাইডেন কিয়েভকে আলোচনার টেবিলে বসার জন্য চাপ দিতে পারে।
দেড় বছর আগে শুরু হওয়া ইউক্রেন যুদ্ধে এখন পর্যন্ত দেশটিকে যুক্তরাষ্ট্র ৪ হাজার ৩০০ কোটি ডলারেরও বেশি সামরিক সহায়তা দিয়েছে। কিন্তু মার্কিন প্রশাসনের সহায়তা তহবিলের অর্থ প্রায় ফুরিয়ে এসেছে। এই অবস্থায় বাইডেন কংগ্রেসের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন আরও ৪ হাজার কোটি ডলার জরুরি ব্যয় বিল পাস করতে। কিন্তু বিলটি নিয়ে এখন পর্যন্ত রিপাবলিকান পার্টির তরফ থেকে কোনো ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি।
এর আগে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছিল, ইউক্রেনকে দেওয়া ক্রমাগত সামরিক সহায়তা এবং ন্যাটোর অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ ব্যবহার করে কিয়েভ হয়তো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করতে পারবে। কিন্তু বহুল আলোচিত পাল্টা আক্রমণ শুরু করেও ইউক্রেন তেমন কোনো সাফল্য লাভ করতে পারেনি। বরং রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউক্রেন পাল্টা আক্রমণ শুরুর পর ৪৩ হাজার সেনা হারিয়েছে।
ইউরোপীয় নেতাদের ভয়ের আরেকটি কারণ হলো, আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। আসন্ন নির্বাচনে বাইডেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তাঁর সবচেয়ে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বারবার বলেছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হলে কিয়েভকে আলোচনার টেবিলে বসতে বাধ্য করবেন।