সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ-২০২৫ এর বিভিন্ন ধারা পুনর্বিবেচনায় উপদেষ্টা কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, কর্মচারীদের চলমান আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আইন উপদেষ্টা আজ মঙ্গলবার বলেন, ‘অধ্যাদেশের কিছু ধারা অপব্যবহারের আশঙ্কা রয়েছে—এ বিষয়ে আন্দোলনরত কর্মচারীদের বক্তব্যের সঙ্গে আমি একমত।
এসব বিষয়ে গভীরভাবে পর্যালোচনার প্রয়োজন আছে।’
অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ও আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের কাছে স্মারকলিপি দেন সরকারি কর্মচারীরা। পরে আইন উপদেষ্টা সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
তিনি আরো বলেন, ‘উপদেষ্টা কমিটিতে আমি থাকলে কর্মচারীদের ন্যায্য দাবিদাওয়াকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।
সেই অনুযায়ী প্রস্তাবনা তৈরি করা হবে।’
গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অধ্যাদেশটির খসড়া অনুমোদন হয়। ২৪ মে থেকেই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আইনটি প্রত্যাহারের দাবিতে সচিবালয়ে আন্দোলন চলছে। আন্দোলন কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সচিবালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মচারী ঐক্য ফোরাম।
তারা এই অধ্যাদেশটিকে নিবর্তনমূলক ও কালো আইন হিসেবে অবহিত করছেন। এর মধ্যে অধ্যাদেশ বাতিল না হলে ঈদের পর কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন কর্মচারী নেতারা।