ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রের বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনা ‘সুষ্ঠু নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপপ্রয়াস’ হিসেবে দেখছে নির্বাচন কমিশন।
গতকাল সোমবার ভোট চলার সময় বেলা সোয়া ৩টার দিকে রাজধানীর বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে হিরো আলমের ওপর এ হামলা হয়। হিরো আলমের ওপর হামলাকারীরা নৌকা প্রতীকের ব্যাজ পরে ছিলেন। পুলিশের সামনেই নৌকার ব্যাজধারীরা হিরো আলমকে পেটান বলে প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা।
এই হামলার ঘটনায় কমিশন কী ব্যবস্থা নিচ্ছে জানতে চাইলে ইসি আলমগীর সাংবাদিকদের জবাবে বলেন, ‘এটা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং ন্যক্কারজনক ঘটনা, এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটি সুষ্ঠু নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপপ্রয়াস।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার সাথে সাথেই আমাদের প্রধান নির্বাচন কমিশনার মহোদয় ডিএমপি কমিশনারের সাথে ফোনে কথা বলেছেন এবং এ বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং গৃহীত ব্যবস্থা আমাদের জানাতে বলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আজ ডিএমপি কমিশনারকে লিখিত চিঠিও দেওয়া হয়েছে।’
পুলিশের সামনেই হিরো আলমকে পেটায় নৌকার ব্যাজধারীরা, প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনাপুলিশের সামনেই হিরো আলমকে পেটায় নৌকার ব্যাজধারীরা, প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা
একজন প্রার্থীকে নিরাপত্তা না দিতে না পারার ব্যর্থতা কার—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সার্বিক দায়িত্বে থাকে। সরাসরি প্রটেকশন দেওয়ার সুযোগ তো কমিশনের নেই। কমিশনের পক্ষে এই প্রটেকশন দেওয়ার দায়িত্ব পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। সেটা পুলিশ কমিশনার দেখবেন, কারো দায়িত্বে কোনো অবহেলা ছিল কিনা।’
নির্বাচন কমিশন আসলে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনে যে অক্ষম, তা এই হামলার ঘটনায় কি প্রমাণ হয় না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘না, এটা তা বোঝায় না। নির্বাচন তো শুধু কাল ঢাকায় হয়নি, প্রায় ৭০/৮০টা জায়গায় নির্বাচন হয়েছে। সবখানেই সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট।’