২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১১:০৫:৫৪ অপরাহ্ন
হাতিরঝিলের দৃষ্টিনন্দন ভবন খালি পড়ে আছে
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৯-০৮-২০২৩
হাতিরঝিলের দৃষ্টিনন্দন ভবন খালি পড়ে আছে

রাজধানীর হাতিরঝিলের নিকেতন অংশে সুদৃশ্য একটি ১০ তলা ভবন নজর কাড়ে যে কারও। এটি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) হাতিরঝিল কার পার্কিং ও ম্যানেজমেন্ট ভবন। অথচ নির্মাণ শেষ হওয়ার পর থেকে প্রায় তিন বছর খালি পড়ে আছে। কারণ, ইজারা দেওয়া হচ্ছে না। এতে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রাজউক।


অবশ্য রাজউক বলেছে, একবার ইজারা দেওয়া হলেও গ্রহীতার অনাগ্রহে পরে তা বাতিল করা হয়। ভবনের বিভিন্ন অংশ আবার ইজারা দিতে কমিটি গঠন করে নিলামপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।


ভবনটির বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল সোমবার রাজউকের চেয়ারম্যান (সচিব) মো. আনিছুর রহমান মিঞা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই পার্কিং ভবন আমরা উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে একবার ইজারা দিয়েছিলাম। কিন্তু ইজারা পাওয়া প্রতিষ্ঠানটি পরে তা চালিয়ে নিতে আগ্রহী হয়নি। তাই রাজউক তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত করে নতুন করে আবার ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ 


রাজউকের সূত্র জানায়, ১০ তলা হাতিরঝিল কার পার্কিং ও ম্যানেজমেন্ট ভবন হাতিরঝিলের মূল প্রকল্পের সঙ্গেই যুক্ত ছিল। প্রায় ছয় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভবনটি ইজারাযোগ্য হয় ২০২০ সালে। ভবনটির নিচতলায় রয়েছে রিসেপশন, লবি, ক্যাফেটেরিয়া ও ফাউন্টেন।


প্রথম তলায় রাজউকের হাতিরঝিল ব্যবস্থাপনা কার্যালয়ের জন্য জায়গা রয়েছে। দ্বিতীয় থেকে অষ্টম তলা পর্যন্ত মোট সাতটি ফ্লোরে ২১০টি গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা আছে। নবম ও দশম তলায় কনভেনশন হলের জন্য ৯ হাজার ৩৮০ বর্গফুট, কফি শপের জন্য ২ হাজার ১৩৯ বর্গফুট এবং রেস্টুরেন্টের জন্য ২ হাজার ১৩৯ বর্গফুট জায়গা রয়েছে। ইজারা না হওয়ায় সবই এখন ফাঁকা। ভবনে দুটি লিফট, বিকল্প সিঁড়ি এবং গাড়ি ওঠানামার জন্য র‍্যাম্প রয়েছে। এ ছাড়া হাতিরঝিল ২ নম্বর অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের নিচতলায় সুপারশপের জন্য ৯১৫ বর্গফুট জায়গাও রয়েছে।


রাজউকের একাধিক কর্মকর্তা বলছেন, কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় ভবনের জায়গা ইজারা না হওয়ায় রাজউক গত তিন বছরে কোটি কোটি টাকা লোকসান করেছে। ভবনটির বিভিন্ন অংশ ইজারা দিতে নিলাম করার জন্য সম্প্রতি সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।


কমিটির আহ্বায়ক হলেন রাজউকের সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম ও সদস্যসচিব হলেন নির্বাহী প্রকৌশলী (সদর দপ্তর)। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন প্রধান প্রকৌশলী (প্রকল্প ও ডিজাইন), তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পূর্ব সার্কেল-১), উপপরিচালক (অর্থ), উপপরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-১) এবং নির্বাহী প্রকৌশলী (বৈদ্যুতিক)। এই কমিটি প্রসপেকটাস, আবেদন ফরম, ভাড়া নির্ধারণ, নিলাম দরপত্র উন্মুক্তকরণ ও মূল্যায়ন করবে।


হাতিরঝিল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) প্রকৌশলী এ এস এম রায়হানুল ফেরদৌস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০২০ সালের শেষের দিকে ভবনটির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। আমরা ৫ কোটি ১ লাখ টাকায় পাঁচ বছরের জন্য বেঙ্গল গ্রুপকে ইজারাও দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা ইজারা পাওয়ার পর চালাতে পারেনি। তাই বাতিল করা হয়েছে।’


শেয়ার করুন