নির্ধারিত সময়ের আগেই ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। দেশের উত্তরাঞ্চলের ১৬টি জেলায় নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সাশ্রয়ীভাবে জ্বালানি সরবরাহের জন্য ২০১৮ সালে পাইপলাইনটির নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়। ৩০৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২৬.৫৭ কিলোমিটার পাইপলাইন নির্মাণের সময়কাল ছিল ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত। প্রতিমন্ত্রী গতকাল দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের সর্বশেষ অগ্রগতি পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, জ্বালানি নিরাপত্তায় বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন কার্যকর অবদান রাখবে। সাশ্রয়ী উপায়ে, দ্রুত ও নিরবচ্ছিন্নভাবে দেশের উত্তরাঞ্চলে জ্বালানি সরবরাহের ক্ষেত্রে এটি একটি মাইলফলক হবে। তিনি বলেন, উন্নয়নের অন্যতম প্রধান শর্ত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ। নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রকল্পটি শেষ হওয়ায় প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি। জানা যায়, ভারতের নুমালীগড় থেকে বাংলাদেশের পার্বতীপুর ডিপো পর্যন্ত বিস্তৃত এ পাইপলাইনের কারণে উত্তরাঞ্চলের দৈনিক অতিরিক্ত ২৯০০০ মেট্রিক টন জ্বালানি মজুদ সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। সহজে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে জ্বালানি সরবরাহ করা, উত্তরাঞ্চলের ১৬টি জেলায় কম খরচে এবং দ্রুততম উপায়ে জ্বালানি তেল সরবরাহ করা সম্ভব হবে এ পাইপলাইনের কারণে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব ডক্টর মো. খায়েরুজ্জামান, বিপিসি চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ, পেট্রো বাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্রনাথ সরকার উপস্থিত ছিলেন।