০১ মে ২০২৪, বুধবার, ০৪:৫৮:৩৬ অপরাহ্ন
ফের নিজের বেতন বৃদ্ধির আবেদন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩১-০৮-২০২৩
ফের নিজের বেতন বৃদ্ধির আবেদন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের

পাকিস্তানে চলছে অর্থনৈতিক সংকট। সব কিছুর দাম আকাশচুম্বী। এমন পরিস্থিতিতে নিজের বেতন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন খোদ পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। 


সরকারি নথি অনুযায়ী, ২০২১ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর ও ২০২৩ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর অর্থাৎ এই দুই ধাপে বেতন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন তিনি। 


চলতি মাসের শুরুর দিকে প্রেসিডেন্ট তার সামরিক সচিবকে দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন বলে বুধবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে জিও টিভি।


বর্তমানে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের মাসিক বেতন পাকিস্তানি রুপিতে ৮ লাখ ৯৬ হাজার ৫৫০ এবং প্রধানমন্ত্রীর বেতন ২ লাখ ১ হাজার ৫৭৪ রুপি। তবে দেশটিতে প্রধান বিচারপতি বেতন পান ১৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৯৯ রুপি। সুপ্রিমকোর্টের বিচারকদেরও বেতন ১৪ লাখ ৭০ হাজার ৭১১ রুপি করে।


এ অবস্থায় নিজের বেতন প্রতি মাসে প্রথম দফায় ১০ লাখ ২৪ হাজার ৩২৫ এবং দ্বিতীয় দফায় ১২ লাখ ২৯ হাজার ১৯০ রুপি চান প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। বকেয়াসহ বেতন কার্যকরের দাবি করেছেন তিনি।


চিঠিতে প্রেসিডেন্টের সচিবালয়ে বেতনভাতা এবং সুযোগ-সুবিধা (সংশোধন) আইন, ২০১৮-এর চতুর্থ তফসিলের সংশোধন করার কথা বলেছে।


মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রেসিডেন্টের বেতন বাড়ানোর বিষয়টি আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঠিয়েছে। এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে বলেছে তারা।


আর আইন মন্ত্রণালয় বলেছে, একই আইনের ধারা ৩(২)-এর ভিত্তিতে ফেডারেল সরকারের কাছে এই তফসিলটি সরকারি গেজেটে একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সংশোধন করার ক্ষমতা রয়েছে। সংশোধনী আইনের মাধ্যমে চতুর্থ তফসিলে কোনো সংশোধনের প্রয়োজন নেই।


প্রেসিডেন্টর বেতন বাড়ানোর বিষয়টি অর্থ বিভাগের কাছেও পাঠানো হয়েছে। বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব সমর্থন করেছে তারাও।


কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিষয়টি এখন মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। আশা করা হচ্ছে, প্রেসিডেন্টের কাঙিক্ষত বেতন বাড়বে। তার আবেদন অনুযায়ীই বেতন বৃদ্ধি কার্যকর হবে।


আরও পড়ুন: দক্ষিণ আফ্রিকায় ভবনে ভয়াবহ আগুন, নিহত ৫২


দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। ২০তম প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের শাসনামলে ব্যাপক দুর্নীতির পর আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারেনি এ দেশের অর্থনীতি। নওয়াজের কাছ থেকে বিপুল বৈদেশিক ঋণের বোঝা নিয়ে ক্ষমতায় আসেন শহিদ খাকান আব্বাসি। সংকট কাটাতে ব্যর্থ হন তিনিও।


শেয়ার করুন