ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। সেই বোমাবর্ষণে এবার স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের এক মুখপাত্র নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) ভোরে উত্তর গাজার জাবালিয়ার তাঁবুতে এই হামলা চালানো হয়। খবর দ্য আরব নিউজের।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, উত্তর গাজার জাবালিয়া আল-বালাদে নিজ তাঁবুতে ইসরায়েল বাহিনীর হামলায় আবদেল-লতিফ আল-কানৌয়া নিহত হয়েছেন।
অন্যদিকে কুদস নিউজ নেটওয়ার্কও হামাসের এই মুখপাত্রের হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। মাটিতে আবৃত অবস্থায় আল-কানৌয়ার মরদেহের একটি ছবিও ইতোমধ্যে প্রকাশ করেছে তারা।
হামাস-পরিচালিত আল-আকসা টেলিভিশন জানিয়েছে, জাবালিয়ায় আল-কানৌয়ার তাঁবুকে লক্ষ্য করে হামলা চালানোর সময় নিহত হন তিনি। এতে আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
দেশটির মেডিকেল সূত্র জানিয়েছে, গাজার পৃথক হামলায় কমপক্ষে ছয়জন এবং দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে একজন নিহত হয়েছেন।
চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সদস্য ইসমাইল বারহুম এবং আরেক জ্যেষ্ঠ নেতা সালাহ আল-বারহুমকে হত্যা করে ইসরায়েল। হামাসের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী শীর্ষ সংস্থা রাজনৈতিক কার্যালয়ের সদস্য ছিলেন বারহুম এবং আল-বারহুম।
হামাস সূত্র অনুসারে, ২০২৩ সালের শেষের দিকে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত এই সংস্থার ১১ জন নিহত হয়েছেন।
গত ১৮ মার্চ থেকে চলমান ইসরায়েলের বিমান হামলায় ৮৩০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং কমপক্ষে ১৮০০ জন আহত হয়েছেন। ইসরায়েলের এই বর্বর হামলা চলতি বছরের জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে দিয়েছে।
এর আগে, গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের হামলায় ৫০ হাজার ১৮৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।এছাড়াও আহত হয়েছেন আরও এক লাখ ১৩ হাজার ৮২৮ জন।
তবে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসে নিহতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০-এরও বেশি বলে জানা গেছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে যেসব হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নিখোঁজ হয়েছেন তাদেরকেও নিহত বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।