২৭ নভেম্বর ২০২৪, বুধবার, ০৯:৫৬:৩০ পূর্বাহ্ন
অটো রিকশাচালকের বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার, মাদকের টাকার জন্য হত্যাকাণ্ড বলছে পুলিশ
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-০৯-২০২৩
অটো রিকশাচালকের বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার, মাদকের টাকার জন্য হত্যাকাণ্ড বলছে পুলিশ

রংপুরের তারাগঞ্জে মাদকের টাকা জোগাতে খুন, ছিনতাই করে এমন একটি চক্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিখোঁজ এক অটোচালককে খুঁজতে গিয়ে ওই চক্রটির সন্ধান পায় তারা। পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ৯ দিন আগে নিখোঁজ হওয়া অটো রিকশাচালক হাবিবুর রহমানের বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 


উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের ফাজিলপুর ডাঙ্গার দোলা ডিবিএল ইটভাটার দক্ষিণ পাশের মাঠ থেকে মরদেহটি উদ্ধার হয়। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে তাঁদের গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা খুন ও ছিনতাইয়ের বিষয়টি স্বীকার করেন। 


এসব তথ্য জানিয়েছেন তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান। 


নিহত অটো রিকশাচালকের নাম—হাবিবুর রহমান (২৩)। তিনি আলমপুর ইউনিয়নের ফাজিলপুর বানিয়াপাড়া গ্রামের ওহেদ আলীর ছেলে। 


গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—একই ইউনিয়নের দোয়ালীপাড়া গ্রামের শরিফুল ইসলাম (৩০), মোশফেকুর রহমান (২৩) ও সোহাগ হোসেন (৩৫)। 


নিহত হাবিবুর রহমানের পরিবার ও পুলিশ বলছে, হাবিবুর রহমান ৩১ আগস্ট অটো রিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন। এরপর আর বাড়ি ফেরেননি। অনেক খোঁজাখুঁজির করে তাঁকে না পাওয়ায় গতকাল শুক্রবার থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন হাবিবুরের বাবা ওহেদ আলী। 


এরপর পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শরিফুল ইসলাম, মোশফেকুর রহমান ও সোহাগ হোসেনকে নিজ নিজ বাড়ি থেকে আটক করে থানায় নেয়। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা হাবিবুরের মরদেহের সন্ধান দেন। 


আসামিদের বরাত দিয়ে পুলিশ বলছে, ৩১ আগস্ট চিকলী বাজার থেকে হাবিবুরের অটো রিকশাটি ভাড়া করেন শরিফুল, মোফেকুর ও সোহাগ। এরপর বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে রাতে আলমপুর ইউনিয়নের ফাজিলপুর ডাঙ্গার দোলা ডিবিএল ইটভাটার কাছে নিয়ে যান। সেখানে হাবিবুরকে শ্বাসরোধে হত্যা করে, মরদেহ বস্তায় ভরে ডোবায় ফেলে দিয়ে অটোরিকশা ও টাকা নিয়ে পালিয়ে যান তাঁরা। 


হাবিবুর রহমানের বাবা ওহেদ আলী বলেন, ‘ছাওয়াটা অটো চালেয়া দুই টাকা কামাই করত, তাকে দিয়া হামরা খাই। ওমরা মোড় কলিজার টুকরাটাক মারি ফেলাইছে। ছাওয়াটার কি অপরাধ আছলো, ওমার একনা দয়া মায়াও হয় নাই। মুই ওমার ফাঁসি চাও।’ 


এ বিষয়ে তারাগঞ্জ থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাবিবুরের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি তাঁর বাবা ওহেদ আলী গতকাল শুক্রবার থানায় জানান। আমরা তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তিনজনকে আটক করি। পরে তাদের তথ্যের ভিত্তিতে হাবিবুরের লাশ উদ্ধার করা হয়।’ 


ওসি আরও বলেন, ‘মূলত মাদকের টাকা জোগাতে অটো ছিনতাইয়ের জন্য এ হত্যাকাণ্ড চালায় তাঁরা। তাদের নামে থানায় মাদক মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় হাবিবুরের বাবা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।’


শেয়ার করুন